অক্সফামের শীর্ষ কর্তার যৌন ক্যালেঙ্কারীতে তোলপাড় : Oxfam: Deputy resigns over sex claims

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ব্রিটেনের চ্যারিটি সংস্থা অক্সফামের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার সেক্স স্ক্যান্ডাল নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে অবশেষে সংস্থাটির ডেপুটি চীফ এক্সিকিউটিভ পদত্যাগ করেছেন।

২০১১ সালে আফ্রিকার দেশ হাইতিতে অবস্থানের সময় অক্সফামের এক শীর্ষ কর্মকর্তা একজন পতিতার সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে যৌন মিলন করেন। অক্সফাম অভ্যন্তরীনভাবে তদন্ত করলেও বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে আসছিল। গত শুক্রবার টাইমসে এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা আলোচনায় আসে।

ডেপুটি চীফ এক্সিকিউটিভ প্যানি ল্যোরেন্স এই ঘটনাকে অত্যন্ত লজ্জাজনক অভিহিত করে সমস্ত দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে সোমবার পদত্যাগের ঘোষনা দেন।

অক্সফামের ওয়েব সাইটের তথ্য অনুযায়ী, ল্যোরেন্স ২০০৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর হিসেবে অক্সফামে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি ৬০ টি দেশে অক্সফাম টিমের নেতৃত্ব দিতেন।

ডেপুটি চীফ এক্সিকিউটিভের পদ থেকে প্যানি ল্যোরেন্সের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অক্সফামের চীফ এক্সিকিউটিভ মার্ক গোল্ডারিং।

এদিকে এই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে ব্রিটিশ সরকারের ফান্ডিং কাটের মুখে পরেছে অক্সফাম। গত অর্থ বছরের প্রায় ৩২ মিলিয়ন পাউন্ড ফান্ড ঝুঁকির মধ্যে আছে।  এই ফান্ড রক্ষার জন্যে এখন লড়াই করে যাচ্ছে অক্সফাম।এদিকে শুধু হাইতি প্রোগ্রামের জন্যেই ২০১১ সালে ইউরোপিয় ইউনিয়নের কাছ থেকে ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফান্ড পেয়েছিল অক্সফাম।

এক নজর দেখে নিন কখন এবং কি ঘটেছিল :

ঘটনা ঘটেছিল ২০১১ সালে হাইতিতে। এতোদিন তা ধামাচাপা দিয়ে আসছিল অক্সফাম। গত শুক্রবার টাইমসের এক প্রতিবেদনে সব গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের ভুমিকম্পের পর হাইতিতে ভুমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছিল অক্সফাম। তখন অক্সফামের কান্ট্রি ডাইরেক্টর হিসেবে হাইতির দায়িত্বে ছিলেন রোলান্ড ভান হাউয়ারমাকান্ত। তার জন্যে হাইতিতে একটি বাড়ি ভাড়া করেছিল অক্সফাম। ওই বাড়িতে অবস্থান করে তিনি ভুমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যে অক্সফামের সব প্রোগ্রাম পরিচালনা করতেন। আর ওই বাড়িতেই তিনি পতিতার সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে যৌনসঙ্গম করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই ঘটনার পর অক্সফাম অভ্যন্তরীনভাবে একটি তদন্ত সম্পন্ন  করে। তদন্তের পর চারজন স্টাফকে বরখাস্ত করা হয়। কিন্ত তদন্ত সম্পন্ন হবার আগেই রোলান্ড ভানসহ আরো দুই স্টাফকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। তবে রোলান্ড ভান অক্সফাম ছেড়ে চ্যারিটি সেক্টরেই অন্য জায়গায় কাজ নেন। যদিও অক্সফাম দাবী করছে অন্য জায়গায় কাজ নেওয়ার ক্ষেত্রে রোলান্ডের ব্যাপারে ইতিবাচক বা ভালো রেফারেন্স দেয়নি অক্সফাম। তবে পুরো বিষয়টি তারা এতোদিন ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিল।

তখন এক প্রেস বিজ্ঞপিতে অক্সফাম জানিয়েছিল, ২০১১ সালে হাইতির প্রোগ্রাম পরিচালনায় কিছুটা অসদাচরণের ঘটনা ঘটেছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এর বেশি বিস্তারিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়নি। অন্যদিকে চ্যারিটি কমিশনকে অক্সফাম জানিয়েছিল, হাইতিতে বুলিং, যৌনহয়রানির মত কিছু ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এখানেও চ্যারিটি কমিশনকে ঘটনার প্রকৃত চিত্র বা কান্ট্রি ডিরেক্টরের পতিতার সঙ্গে যৌন মিলনের কথা প্রকাশ করেনি অক্সফাম।

 

Oxfam: Deputy resigns over sex claims

Oxfam’s deputy chief executive has resigned over the handling of a sex scandal involving aid workers.
The charity is accused of concealing the findings of an inquiry into claims staff used prostitutes while delivering aid in Haiti in 2011.
Penny Lawrence said she was “ashamed” and takes full responsibility.
Oxfam – which denies a cover-up – has met with the International Development Secretary in a bid to prevent its government funding from being cut.
Mark Goldring, chief executive of Oxfam GB, thanked Ms Lawrence for her service and said he “deeply respected” her decision to accept personal responsibility.
Ms Lawrence joined Oxfam GB in 2006 as international programmes director, leading teams across 60 countries, according to the charity’s website.

The charity’s programme in Haiti received €1.7m in EU funds in 2011.

Oxfam’s own investigation led to four people being sacked and three others resigning, including the country director for Haiti.
International Development Secretary Penny Mordaunt has said it must account for the way it handled the claims or it risks losing government funding, worth £32m in the last financial year.

 

What happened when?

The allegations of misconduct by Oxfam staff in Haiti date from 2011 but came to light in a report in the Times on Friday.
It said the charity’s country director for Haiti, Roland van Hauwermeiren, was alleged to have used prostitutes at a villa rented for him by Oxfam in the aftermath of the 2010 earthquake.
Oxfam knew about the allegations at the time and launched an internal investigation, as a result of which four members of staff were dismissed.
Three others, including Mr van Hauwermeiren, were allowed to resign before the end of the investigation.
Mr van Hauwermeiren went on to work elsewhere in the sector, but Oxfam said it would not have provided a positive reference.
The charity says at the time it made public a report, which said “serious misconduct” had taken place in Haiti and issued a press release – but did not give details of the allegations.
It told the Charity Commission it was investigating inappropriate sexual behaviour, bullying, harassment and staff intimidation – but again did not reveal the exact details.

Advertisement