আগামি নির্বাচনে অন্তত ১০টি সেইফ সিটে ব্রিটিশ বাংলাদেশী প্রার্থী চায় লেবার ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ

ইব্রাহিম খলিল, ব্রাইটন থেকে ফিরে: ব্রিটেনের আগামী সাধারন নির্বাচনে লেবারের সেইফ সীটে ১০জন ব্রিটিশ বাংলাদেশী প্রার্থী নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইন করছে লেবার ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ। পার্টি কনফারেন্স ডিনারে এ কথা জানান সংগঠনের প্রেসিডেন্ট হাওয়ার্ড ডোবার। রোববার রাতে ব্রাইটনে লেবার পার্টির কনফারেন্সের ফাঁকে অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন পার্টির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

এবারের ডিনার পূর্ব আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো রোহিঙ্গা ইস্যু। লেবার নেতৃবৃন্দরা এই ঘটনাকে বিবেচনা করছেন গণহত্যা হিসেবে।


প্রতিবছর লেবার পার্টির কনফারেন্স চলাকালিন সময় ব্রিটিশ বাংলাদেশী লেবার সদস্য এমপিদের অংশগ্রহনে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে লেবার ফেন্ডস অব বাংলাদেশ। অন্যান্যবারের মতো এবারের অনুষ্ঠানেও যোগ দেন লেবারের শীর্ষ নেতৃবন্দ এবং বেশ কয়েকজন সিনিয়র এমপি। এর মধ্যে ছিলেন শ্যাডো ফরেইন সেক্রেটারী এমেলি থর্নবেরী, ব্রেক্সিট সেক্রেটারী স্যার কিয়ার স্টারমার, হ্যালথ সেক্রেটারী জনাথন আশওয়ার্থসহ প্রভাবশালী লেবার এমপিরা।

এবারের অনুষ্ঠানে ইউকের বাংলাদেশী কমিউনিটি ছাড়াও ঘুরেফিরে আসে রোহিঙ্গা ইস্যুা। লেবার এমপিরা রাখাইনে রোহিঙ্গা নির্যাতনকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেন। শ্যাডো ফরেইন সেক্রেটারী ও ফরেইন মিনিস্টার দুজনেই বলেছেন, তারা সরকারকে এ ব্যাপারে যতেষ্ট চাপে রেখেছেন।

লেবার এমপিরা বলেছেন, ব্রিটিশ ফান্ডিংয়ে পরিচালিত বার্মিজ আর্মিদের- অপরাধের দায় নিবেনা ব্রিটিশ জনগন। এমপি রুশানারা আলীর নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের উপর হত্যা নির্যাতন বন্ধ করতে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃস্টি করার জন্য ব্রিটিস সরকারের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে হাউস অব কমন্সের প্রায় দেড় শতাধিক এমপি স্বাক্ষর করেন। এমপি রুশানারা আলী বলেন, তাদের ধারাবাহিক ক্যাম্পেইন ও চাপ প্রয়োগের ফলে ফান্ডিং বন্ধে করতে বাধ্য হয়েছে সরকার।

উল্লেখ্য মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রশিক্ষনের জন্য বছরে প্রায় ৩শ হাজার পাউন্ড ফান্ডিং পেত ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে। ২০১২-১৩ সালে এই ফান্ডিংয়ের পরিমান ছিল ৮৬ হাজার পাউন্ড। গত বছর তা বাড়িয়ে ৩শ হাজার পাউন্ড করা হয়। গত ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধন শুরুর পর এমপিদের ক্যাম্পেইনের ফলে রোহিঙ্গা ইস্যু সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এই ফান্ডিং স্থগিতের ঘোষনা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

অনুষ্ঠানে লেবার এমপি ছাড়াও বিভিন্ন বারা কাউন্সিলের মেয়র, কাউন্সিল লিডার, কাউন্সিলার ও লেবার এক্টিভিস্টরা অংশ নেন। ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের লেবার পার্টির সাথে আরো সম্পৃক্ত হতে আহবান জানান তারা। এসময় এলএফওবির প্রেসিডেন্ট হাওয়ার্ড ডোবার জানান, আগামী নির্বাচনে তিনি অন্তত ১০জন বাংলাদেশী অরিজিন এমপির বিজয় দেখতে চান।
সাবেক লেবার লিডার এড মিলিবান্ড পরিচালিত চ্যারিটি সংগঠনের ব্যানারে রোহিঙ্গাদের জন্য ফান্ড রেইজ করা হয় অনুষ্ঠানে।

ইব্রাহিম খলিল : সিনিয়র রিপোর্টার, চ্যানেল এস।

Advertisement