আজকের শিশুরাই হবে আগামী দিনের স্মার্ট জনগোষ্ঠী : প্রধানমন্ত্রী

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকীতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে জাতীয় শিশু দিবসের শিশু সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না। কোনো মানুষই থাকবে না গৃহহীন।সকালে পৈত্রিক ভূমি টুঙ্গিপাড়ায় আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ পৌঁছানোর পর একসঙ্গে শ্রদ্ধা জানান জাতির পিতার সমাধিতে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন সহধর্মিণী রাশিদা খানমসহ পরিবারের সদস্যরাও।

রাষ্ট্রীয় সালাম শেষে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তারা।রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও দলীয় নেতাদের নিয়ে আবারো জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।পরে, সমাধি কমপ্লেক্সের পাশে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’ প্রতিপাদ্যে ‘শিশু সমাবেশে’ যোগ দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।সমাবেশে শিশুতোষ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও অসহায় শিশুদের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন সরকার প্রধান। পুরস্কার বিতরণ করেন চিত্রাঙ্কনসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে।শিশু কিশোরদের উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন শিশু মুজিব থেকে জাতির পিতা হয়ে ওঠার ইতিহাস। জানান, এই জাতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা আর ত্যাগের কথা।প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু জীবনটাকে উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তার ভেতরে যে মানসিকতা ছিল, মানুষের প্রতি দরদ ছিল, এটা ছোটবেলা থেকেই প্রকাশ পেয়েছিল। স্কুলে যখন পড়তেন তখন যার বই নেই তাকে নিজের বই দিয়ে দিতেন। গায়ের জামা কাপড় দরিদ্র মানুষকে বিলিয়ে দিতেন। এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলার ধানও মানুষকে বিলিয়ে দিয়েছেন। ছোটবেলা থেকে এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করেছিলেন আমার দাদা-দাদি। বড় হয়ে যারা শোষিত ও বঞ্চিত ছিল, একবেলা খাবার পেত না, যাদের কোনো পুষ্টি ছিল না, রোগের চিকিৎসা করার সামর্থ্য ছিল না, ঘরবাড়ি ছিল না সেই সব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে তিনি সংগ্রাম করেছেন।”অভিভাবক, শিক্ষকদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব শিশুদের গড়ে তোলার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।শেষে শিশুদের অংশগ্রহণে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

Advertisement