‘আমেরিকা-ইউরোপ থেকেও বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো’

ব্রিট বাংলা ডেস্ক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বৈশ্বিক করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে প্রমাণ হয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপ থেকেও বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো। বাংলাদেশে যে পরিমাণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, শুধুমাত্র ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সেই পরিমাণ মানুষ মারা যাননি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবমুখী পদক্ষেপ এবং চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই আমরা দেশে করোনায় মৃত্যুহার কমাতে পেরেছি। তবে আগামীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে নিজেদের রক্ষায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার সকাল ১০টায় দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনার মধ্যেও আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেমে নেই। বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী, আড়াই মাস মানুষের বাড়ি বাড়ি চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ইউএনও, ডিসিসহ সরকারি কর্মকর্তারা মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যখন পরিবারের লোকজন কোনো করোনা রোগীর পাশে যাচ্ছেন না, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। ডাক্তাররা রোগীদের চিকিৎসা করাচ্ছেন। এ চিত্র সমগ্র বাংলাদেশের।

তিনি বলেন, করোনার সময়ে একদিনের জন্যও চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ হয়নি। খাদ্য সরবরাহ চালু ছিল। এ সাহস আমরা পেয়েছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে। তিনি সাহস না দিলে আমরা মুখথুবড়ে পড়তাম।

বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছন্দা পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- সেতাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবদুস সবুর, বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী, উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সায়েম মো. তহিদুল্লাহ প্রমুখ।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উপজেলার ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, দুটি পাকা রাস্তার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৩০টি পরিবারের মাঝে নতুন ঘর হস্তান্তর করেন। শেষে তিনি প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার-বীজসহ কৃষি উপকরণ বিতরণ করেন।

Advertisement