ইংল্যান্ডের নতুন কোচ ক্রিস সিলভারউড

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জিতিয়েই জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ট্রেভর বেলিস। ঘরের মাঠে অ্যাসেজ দিয়ে তার ইংল্যান্ড অধ্যায় শেষ হয়েছে। রুট-স্টোকসদের জন্য কোচ খুঁজতে তাই বেশ আগে থেকেই মাঠে নামে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। এবার তারা নিশ্চিত করেছে যে, তিন ফরম্যাটে ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব পালন করবেন ক্রিস সিলভারউড।

ইংল্যান্ডের কোচ হওয়ার তালিকায় বেশ কিছু বড় নাম ছিল। গ্যারি কারস্টেন, অ্যালিস স্টিওয়ার্ট এবং গ্রাহাম ফোর্ডরা ছিলেন অন্যতম। তবে ইংল্যান্ড ক্রিকিটে বোর্ডের পুরুষ দলের পরিচালক অ্যাসলে গিল ইংল্যান্ডের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করা ক্রিস সিলভারউডকে কোচ হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ৪৪ বছর বয়সী এই কোচ ২০১৭-১৮ মৌসুমের অ্যাসেজ সিরিজ থেকে বেলিসের কোচিং প্যানেলে বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ক্রিসকে কোচ ঘোষণা করে অ্যাসলে গিল বলেন, ‘আমরা ক্রিস সিলভারউডকে কোচ হিসেবে বেছে নিতে পেরে খুবই উচ্ছ্বসিত। সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমাদের সম্ভব্য সব প্রার্থীর ব্যাপারে বিচার-বিবেচনা করেছি। ক্রিসকে তাদের মধ্যে সেরা প্রার্থী বলেই মনে হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি তিনি আমাদের আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এছাড়া টেস্ট অধিনায়ক জো রুট এবং ওয়ানডে ও টি-২০ অধিনায়ক ইয়ন মরগানের সঙ্গে তার সম্পর্কও ভালো। দলের সহকারী কোচ হিসেবেও ক্রিস ভালো কাজ দেখিয়েছেন।’

ইংল্যান্ডের কোচ হওয়ার দৌড়ে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ গ্যারি কারস্টেন এগিয়ে ছিলেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হিসেবেও ভালো কাজ করেছেন। কিন্তু কোচ হিসেবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের নিজ দেশের কাউকেই প্রথম পছন্দ ছিল। সেজন্য ক্রিস সিলভারউড সুযোগটা পেয়েছেন। ইংল্যান্ডের কোচ হয়ে সম্মানিত মনে করছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে আগামী মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট এবং টি-২০ সিরিজ হবে ক্রিস সিলভারউডের প্রথম পরীক্ষা।

ক্যারিয়ারে ঘরোয়া ক্রিকেটে সিলভারউড ছিলেন খুবই পরিচিত মুখ। তিনি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ১৮৪টি। উইকেট নিয়েছেন ৫৭৭টি। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে ২০২ ম্যাচ খেলে ডান হাতি এই মিডিয়াম পেসার ২৫৯ উইকেট নেন। কিন্তু ইংল্যান্ড জাতীয় দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি সিলভারউড। তিনি মাত্র ছয়টি আন্তর্জাতিক টেস্ট এবং সাতটি ওয়ানডে খেলেছেন। ২০১০ সালে তিনি এক্সেসের বোলিং কোচের দায়িত্ব পান। পরে প্রধান কোচও হন। তিনি ২০ বছর পরে ইংল্যান্ডের স্বদেশি কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেলেন। এর আগে ১৯৯৯ সালে পিটার মুরেস ছিলেন ইংল্যান্ডের স্বদেশি কোচ।

Advertisement