ব্রিটেনে ইইউ নাগরিক নন ইইউ স্পাউস রাখতে পারবেন : EU citizens keep immigration rights in UK, court rules

ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণকারী ইইউ নাগরিকরা বর্তমান আইনের বাইরে গিয়ে নন ইইউ দেশের স্পাউস নিয়ে ব্রিটেনে বসবাস করতে পারবেন বলে রায় দিয়েছে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস । এর আগে লন্ডন হাইকোর্ট ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণকারী  ইইউ নাগরিকদের নন ইইউ স্পাউসের  ইমিগ্রেশন অধিকার সংক্রান্ত মামলাটি  ইসিজে-তে রেফার করেছিল। বর্তমান আইন অনুযায়ী, নন ইইউ দেশ থেকে স্পাউস আনতে হলে বছরে অবশ্যই ১৮ হাজার ৬শ পাউন্ড আয় দেখাতে হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্পেনে জন্মগ্রহণকারী এক ব্রিটিশ মহিলার স্বামী হলেন আলজেয়িার নাগরিক। তিনি নন ইইউ দেশের নাগরিক এবং অভিবাসি অনুযায়ী তিনি ব্রিটেনে অবৈধভাবে বসবাস করছেন। ইইউভুক্ত দেশ স্পেনের মহিলা ২০০৯ সালে ব্রিটেনের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১৪ সালে আলজেরিয়ান এক  ভিজিটরকে বিয়ে করেন। তার আলজেরিয়ান স্বামী ৬ মাসের ভিজিট ভিসা নিয়ে ২০১০ সালে ইউকেতে আসনে। পরবর্তীতে ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও তিনি ফেরত যাননি। এ জন্যে অবৈধ অভিবাসি হিসেবে তাকে দেশে ফেরত পাঠাতে চায় হোম অফিস।

স্পেন ইউরোপিয়ানভুক্ত দেশ হলেও আলজেরিয়া নন ইউরোপিয়ান দেশ। ইইউ ফ্রি মুভমেন্ট অনুযায়ী, ইইউভুক্ত দেশের নাগরিকরা যে কোনো সময় ইউকেতে আসতে পারেন। যা এখনো বহাল আছে। অন্যদিকে ২০১২ সালের আইন অনযায়ী, স্পেনিশ বৃটিশ মহিলাকে অন্যান্য ব্রিটিশ নাগরিকের মতোই ইমিগ্রেশন প্রসেসের মধ্য দিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছে হোম অফিস।  বর্তমান আইন অনুযায়ী, নন ইউরোপিয়ান দেশ থেকে স্পাউস আনতে হলে বছরে অবশ্যই ১৮ হাজার ৬শ পাউন্ড আয় বা বেতন দেখাতে হবে।

মঙ্গলবার ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস এক রায়ে বলেছে, আলজেরিয়ান নাগরিক নন ইইউ দেশের নাগরিক হলেও তার স্ত্রী ব্রিটিশ নাগরিক এবং তিনি ইইউভুক্ত দেশ স্পেনের অরিজিন। যেহেতু স্ত্রীর স্পেন এবং ব্রিটেনের নাগরিকত্ব সেহেতু তার স্বামী নন ইইউ দেশের নাগরিক হলেও তারা ব্রিটেনে এক সঙ্গে জীযন যাপন করতে পারবেন।

EU citizens keep immigration rights in UK, court rules

EU nationals who become British citizens do not lose the right to bring a foreign-born spouse to the UK, the European Court of Justice has ruled.

London’s High Court referred the case of an Algerian man, who lived in the UK with his wife, but who British authorities were trying to deport.

His wife had dual Spanish and British nationality, which gave the man a “derived” residence right, judges said.

The government said it was reviewing the ruling and considering its impact.

The Home Office had argued that once she became a British citizen, Spanish-born Perla Nerea García Ormazabal became subject to UK immigration rules, rather than the freedom of movement directive which applies to EU nationals.

That change, officials said, meant she should be treated like any other British national who would have to go through strict immigration procedures – in place since 2012 – to assess whether her husband qualified to be in the UK.

Under those procedures, British citizens must earn more than £18,600 ($23,140) before a spouse from outside the European Economic Area (EEA) can settle in the UK.

However, on Tuesday, the ECJ ruled that Ms Ormazabal retained the right, under EU law, to a family life, and specifically, to have her husband live with her even if he was from a third country.

Spanish-born Perla Nerea García Ormazabal became a British citizen in 2009 and in 2014, married her Algerian partner Toufik Lounes.

Mr Lounes had entered the UK in 2010 on a six-month visitor visa and then overstayed illegally.

Following their marriage, he applied for a residence card as a family member of a European Economic Area national.

The Home Office refused the application on the basis that under UK legislation, Ms Ormazabal had ceased to be an EEA national after she gained British citizenship.

The EEA countries are made up of all those in the EU, as well as Liechtenstein and Norway.

Mr Lounes’s case was referred to the European Court of Justice by the High Court in England and Wales after it expressed doubts about the Home Office’s decision.

The European Court of Justice concluded that people in Ms Ormazabal’s situation should have the right to build a family life with a spouse from a non-EU country.


The salary rule for British citizens was challenged in the UK Supreme Court earlier this year, with families arguing that the rules breached their human right to a family life.

Judges, however, ruled it was lawful “in principle”.

Advertisement