ইরানের ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা

:: বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী ::

শেষ পর্যন্ত ইসরায়েল এবং সৌদি প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প কম্প্রিহেনিসভ প্ল্যান অব অ্যাকশন থেকে বের হয়ে গেছে। জর্জ ডব্লিউ বুশ অভিযোগ উত্থাপন করেছিলো ইরাক পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে অপরিশোধিত ইউরোনিয়াম সংগ্রহ করছে। এ অভিযোগকে কেন্দ্র করে আমেরিকা যুদ্ধ করে ইরাক দখল করেছিলো। আসলে এসব ছিল ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইরাককে ধ্বংস করার নীলনকশা বাস্তবায়ন।
মিসর নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নির্বাক হয়ে বসে আছে। সিরিয়া গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত। এখন শক্তিধর মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মাঝে ইরান ও তুরস্ককে ধ্বংস করতে পারলে ইসরাইল মনে করে সিনাই থেকে জর্দান আর সিরিয়া থেকে টাইগ্রিস পর্যন্ত বিস্তৃত যে ভূমির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জিহুবা ইহুদি রাষ্ট্র কায়েম করার, তার বাস্তবায়নে আর কোনও বাধা থাকে না।
এখন আমেরিকা, ইসরায়েল, সৌদি আরব আর সংযুক্ত আরব আমিরাত ইরানকে ধ্বংস করার এক অভিন্ন অভিলাষ নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। সে কারণেই আমেরিকা কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন থেকে বের হয়ে গেছে। এই চুক্তিটি সম্পাদিত করা হয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচ স্থায়ী সদস্য প্লাস জার্মানি এবং ইরানের মাঝে। চুক্তি অনুসারে ইরান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল যে তারা অতিরিক্ত ইউরেনিয়াম তৈরির কাজ স্থগিত করবে এবং কোনও আণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করবে না এবং এ বিষয়টি প্রত্যক্ষ তদারকি করবে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএসএ)।

চুক্তিটি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রচেষ্টায় সম্পাদিত হয়েছিলো। জাতিসংঘও চুক্তিটিকে অনুমোদন দিয়েছিল। এ চুক্তিটি হলে ইরানের ওপর আরোপিত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাবে এবং ইরানের আর্থিক অবস্থা গতি পাবে। মুখ্যত এ কারণে ইসরায়েল, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এ চুক্তির বিরোধিতা করেছিলো। চুক্তিটি থেকে ইরান বের হয়নি বা তারা পুনরায় ইউরেনিয়াম তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করবে অনুরূপ কোনও কথাও বলেনি।

ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ চুক্তিটি রক্ষা করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কতটুকু অবস্থান রক্ষায় দৃঢ় থাকে জানি না। কারণ, আমেরিকার লেজুড়বৃত্তি করতে করতে এদের নৈতিক শক্তি এতো দুর্বল হয়ে গেছে যে শেষ পর্যন্ত আমেরিকার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান বজায় রাখতে তারা পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ জাগে।

অবশ্য তারা চুক্তির পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিলে বিশ্ব ব্যবস্থা বিপর্যয় থেকে সম্ভবত রক্ষা পাবে। আমেরিকার কংগ্রেস বহু দিন পূর্বে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলো কিন্তু তেল আবিব থেকে দূতাবাস গত এক দশকেও স্থানান্তর করেনি। এবার গত ১৭ মে ইসরায়েলের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমেরিকা তার দূতাবাস তেল-আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নিয়েছে।

জাতিসংঘসহ সবার বিরোধিতা ট্রাম্প উপেক্ষা করেছেন। ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভ করেছেন। ইসরায়েলি সৈন্যরা বিক্ষোভে গুলি ছুড়ে ৬২ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এবং ওআইসির সভাপতি এরদোয়ানকে ধন্যবাদ, তিনি ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ইস্তাম্বুলে সভা ডেকে আমেরিকার দূতাবাস, স্থানান্তর ও ইসরায়েলি সৈন্যদের ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলার নিন্দা করেছেন। মুসলিম বিশ্বের এখন ঐক্য ও সংহতি প্রয়োজন।

সাম্প্রতিক সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত আরব সাগরের সোকোত্রা দ্বীপ দখল করেছে। এ দ্বীপের মালিকানা ছিল ইয়েমেনের। এ দ্বীপ দখল করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অতিরিক্ত সৈন্য সরবরাহ করেছে রিফ্লেক্স রিপন্সস-আর২ (Reflex Reponses Management Consultancy LLC)। এ সংস্থাটি ভাড়াতে সৈন্য সরবরাহ করে। আমিরাত ও আর২ বাহিনী সোকোত্রার কাছাকাছি কুরি দ্বীপও দখল করেছে। আর২-এর মালিক হচ্ছেন ট্রাম্পের রাজনৈতিক সংযোগী এরিক প্রিন্স, যিনি আবার মার্কিন শিক্ষামন্ত্রীর ভাই।

এ সোকোত্রা দ্বীপ একসময়ের হাদ্রমোউতের কিশনের মাহরা সালতানাতের অংশ ছিল। এখন নাকি মাহরার অবলুপ্ত সালতানাতের কোনও এক লোককে সোকোত্রা দ্বীপের সুলতান ঘোষণা করে সোকোত্রা দ্বীপের এ সালতানাতকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অষ্টম সদস্য হিসেবে যোগদানের আহ্বান জানানো হবে। এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের অষ্টম সদস্য হিসেবে সোকোত্রাকে অধিভুক্ত করা হবে।

ইসরায়েলের জন্য সোকোত্রার বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর গুরুত্বপূর্ণ। সেখান থেকে ইরান আক্রমণ খুবই চমৎকারভাবে হবে। ইসরায়েলের সমর বিশারদদের পরামর্শে নাকি এসব কাজ করা হচ্ছে। এর আগে ২০১৫ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত আর২ ভাড়াটে বাহিনীর সহযোগিতায় হুতিদের দখলে থাকা দ্বীপ পেরিমের দখলও নিয়েছিল। এসব দ্বীপের কৌশলগত অবস্থান খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। সমর বিশারদেরা বলছেন, এসবই ইরান আক্রমণের প্রস্তুতি।

অনুরূপ সমর প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আক্রমণের অজুহাত সৃষ্টির জন্য বলে বেড়াচ্ছেন তার দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ইরানের আণবিক প্রজেক্ট ‘আসাদ প্রকল্প’ থেকে এক লক্ষ দলিল চুরি করে এনেছে। সেখানে ইরানের আণবিক রূপকল্পের সব তথ্যই মজুত রয়েছে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বলছে, এসব নেতানিয়াহুর বানোয়াট কাহিনি। এতে সত্যের লেশমাত্র নেই। নেতানিয়াহুর সৌভাগ্য যে তিনি এসব কাহিনি কাউকে বিশ্বাস করাতে না পারলেও ঠিকঠাকভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বুঝাতে পেরেছেন। এবং তিনি সত্য হিসেবে সবই গ্রহণ করেছেন।

এখন আমেরিকা ইরানের প্রতি হুমকি ধমকির বাণ ছোড়া আরম্ভ করে দিয়েছে। গত ২১ মে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ইরান মধ্যপ্রাচ্যে তার আচরণ পরিবর্তন না করলে অর্থনৈতিক এবং সামরিক চাপ প্রয়োগ করে দেশটাকে ‘গুঁড়িয়ে দেওয়া’ হবে। হেরিটেজ ফাউন্ডেশনে দেওয়া এক বক্তৃতায় পম্পিও বলেছেন, অবরোধ বসানো হবে খুবই কঠোরভাবে। তিনি বলেছেন, ইরানকে সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে আর ইয়েমেনের হুতিদের লেবাননের হিজবুল্লাহকে সাহায্যদান বন্ধ করতে হবে। ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ থেকে বিরত থাকতে হবে। আমেরিকার পররাষ্ট্র বিভাগ বলেছে, একটি নতুন নিরাপত্তা পরিকল্পনায় ইরানকে বাধ্য করতে পারে এমন একটি বৈশ্বিক জোট গঠন করতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন।

বহু বিশ্লেষক বলেছিলেন ট্রাম্প কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর হুমকি পাল্টা হুমকিতে মধ্যপ্রাচ্য উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। কিন্তু ইরানের রক্ষণশীল গ্রুপ, উদারনৈতিক গ্রুপ কেউই আমেরিকার চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়িতে জড়িত হয়নি। বরং ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, রাশিয়া ও জাতিসংঘ যে চুক্তিটি বহাল রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে ইরান তাদের সঙ্গে সহমতে অবস্থান করছে।

আমেরিকা তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা পরিকল্পনায় ইরানকে বাধ্য করতে যে বৈশ্বিক জোট গঠনের কথা বলেছে তাতে কারা থাকবে তা নিয়েই কৌতূহল। ইরানের এখন এ প্রয়াস চালানো উচিত যেন ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমেরিকার জোটে শরিক না হয়। অর্থাৎ তাদের বর্তমান অবস্থান অব্যাহত রাখে। ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানির সঙ্গে বহু বিষয়ে মতপার্থক্য বিরাজ করছে ট্রাম্পের সঙ্গে। সুতরাং তারা আমেরিকার জোটে সহজে যোগদান করতে চাইবে বলে মনে হয় না। সর্বোপরি ২০১৫ সালে কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন সম্পাদনের পর ফ্রান্স এবং জার্মানি ইরানে বিনিয়োগ শুরু করেছিলো, তার জন্যও তারা মনক্ষুণ্ন হবে। কারণ, ট্রাম্পের একগুয়েমির কারণে ফ্রান্স ও জার্মানির বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

চুক্তি থেকে বের হয়ে আসার কারণে এখন আমেরিকার হাত লম্বা হয়েছে। পারমাণবিক বিষয়ের প্রশ্ন উত্থাপন না করেও আমেরিকা এখন ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে না থাকলে আমেরিকা ইসরায়েল, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওপর নির্ভর করে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইবে বলে মনে হয় না। যাক, ট্রাম্পের ওপর আস্থা রাখা খুবই কঠিন। ট্রাম্প যেকোনও সময় বিশ্বব্যবস্থাকে লণ্ডভণ্ড করে দিতে পারে। এ বিষয়ে দায়িত্বশীল রাষ্ট্রগুলোর দায়িত্ব রয়েছে অনেক। তারা বিষয়টি বিস্মৃত হলে বিশ্বকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

লেবাবনে দশ বছর পর নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে হিজবুল্লাহ বেশ ভালো ফল করেছে। এখন লেবাননে হিজবুল্লাহ সমর্থিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। হারিরি প্রধানমন্ত্রী হলেও হিজবুল্লাহর কথার বাইরে যাওয়া সম্ভব হবে না। লেবাননে হিজবুল্লাহর কারণে কথায় কথায় ইসরায়েল এখন সীমান্ত অতিক্রম করে না, সে কারণে প্রেসিডেন্টও হিজবুল্লাহকে পছন্দ করে। লেবাননের শাসনতন্ত্র অনুসারে খ্রিস্টানরা প্রেসিডেন্ট, সুন্নিরা প্রধানমন্ত্রী আর শিয়ারা স্পিকার হয়ে থাকে। তিন সম্প্রদায়ের সমঝোতার সরকার।

হিজবুল্লাহরা ইরানের অন্ধ সমর্থক। ইরাকেও নির্বাচন হয়েছে। আমেরিকা সমর্থক হায়দার আল-আবাদির দল পরাজিত হয়েছে। মুকতাদা আল সদরের দল নির্বাচিত হয়েছে। মুকতাদা আল সদর শিয়াদের ধর্মীয় নেতা। তিনি ইরানের সমর্থক আর আমেরিকা ও ইসরায়েল বিরোধী। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের রমারমা অবস্থানকে কখনও ইসরায়েল মেনে নেবে না। ইসরায়েল লবি চেষ্টা করবে ট্রাম্পকে সম্মত করে ইরানকে আক্রমণ করতে।

সৌদি আরব, কাতার ও ওমানে আমেরিকার ঘাঁটি রয়েছে। তুরস্কেও আমেরিকার বড় ঘাঁটির অবস্থান। তুরস্কের ঘাটিতে নাকি ৬০টি আণবিক বোমা মজুত রয়েছে। অবশ্য কয়দিন আগে তুরস্কের মাটিতে আমেরিকার ঘাঁটি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছেন প্রেসিডেন্টে এরদোয়ান। এখন ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া ও চীনের কঠোর প্রচেষ্টা না থাকলে ইরানে আক্রমণ ঠেকানো যাবে না। ইরান আক্রান্ত হলে ইসরায়েল ইরানের আণবিক প্রকল্প ও তেল শোধানাগারে আঘাত হানবে। তখন ইরান পাল্টা সৌদি আরবের তেল শোধানাগার ও বন্দর আক্রমণ করবে এবং হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে।

অবশ্য গুলিগোলার ভয়ে হরমুজ প্রণালী দিয়ে তেলবাহী ট্যাংক এমনিই বন্ধ হয়ে যাবে। তখন পশ্চিমা বিশ্বে তেলের জন্য হাহাকার উঠবে। এখনই তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলার হয়ে গেছে। আমেরিকার স্থানীয় বাজারেও তেলের দাম বেড়েছে। আমেরিকাতে ভোক্তার অসন্তুষ্টি বাড়বে। চীন ও ভারতে তেল সরবরাহ হচ্ছে ইরান থেকে। চীন ও ভারতে তখন তেলের অভাব দেখা দেবে। বিশ্বকে তেল বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে ইসরায়েলের ইরান আক্রমণের ষড়যন্ত্র বন্ধ করা ভিন্ন অন্য কোনও উপায় নেই। আর অনুরূপ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যও গুঁড়িয়ে যাবে। আবাদানের, বন্দর আব্বাসের, জেদ্দার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সকল তেল শোধানাগার বোমা আক্রমণের শিকার হবে।

একসময় ইরাকের সাদ্দাম হোসেনকে দিয়ে আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে প্রক্সি ওয়্যার চালিয়েছিল দীর্ঘ আট বছর। তখনও সৌদি আরব, আমিরাত ও আমেরিকা ইরাককে অব্যাহত সাহায্য প্রদান করেছিলো কিন্তু ইরানকে ধূলিসাৎ করা সম্ভব হয়নি। এখন ইসরায়েলকে দিয়ে আমেরিকা যদি ইরানের বিরুদ্ধে আরেকটা প্রক্সি ওয়্যার আরম্ভ করে তবে কতদিন যুদ্ধ চলবে এবং কতটুকু সফল হবে তা অনুমান করা কঠিন। মনে রাখতে হবে, প্রাচীন বিশ্বে পারস্য (ইরান) ও রোম ছিল পরাশক্তি।

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক

bakhtiaruddinchowdhury@gmail.com

Advertisement