ইস্ট লন্ডনে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তির ১২ বছরের জেলদন্ড : Man jailed for rape in East London

 ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : ধর্ষণের অভিযোগে ইস্ট লন্ডনের স্টেপনি এলাকার এক ব্যক্তিকে ১২ বছরের জেল দিয়েছে আদালত। মেট পুলিশ জানিয়েছে, দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম আহাদ আলী। তার বয়স ২১ বছর। তিনি টাওয়ার হ্যামলেটস বারার সিডনী স্ট্রীটের বাসিন্দা। অনলাইনে একজন মহিলা এস্কোর্ট ডেকে এনে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার উলইচ ক্রাউন কোর্টে তার এই সাজার মেয়াদ ঘোষণা করা হয়। এর আগে গত ২৫ শে আগষ্ট জুড়িরা তাকে দোষি সাব্যস্ত করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আহাদ আলী অনলাইনে একটি এজেন্সির মাধ্যমে একজন এস্কোর্ট বুকিং দিয়েছিলেন। বুকিং অনুযায়ী ৪০ বছর বয়সী এস্কোর্ট মহিলা গত ১৩ ফেব্রুব্রয়ারী রাত ৯টার দিকে তার ফ্ল্যাটে আসেন। ফ্ল্যাটের ভেতরে  যাওয়ার পর আলী ওই মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে তার বেডরুমে নিয়ে দরোজা আটকে দেন। এরপর মহিলার চুলের মুটি ধরে, গলায় ছুরি আটকে কথামত কাজ না করলে হত্যার হুমকি দেন। হত্যার হুমকি দিয়ে পর্যায়ক্রমে চারবার ৪০ বছর বয়সী এস্কোর্ট মহিলাকে আহাদ আলী ধর্ষণ করেন বলে আদালত জানিয়েছে। এর মধ্যে একবার খুব অল্প সময়ের জন্যে আহাদ আলী রুম থেকে বের হয়ে আসলে ওই মহিলা মোবাইল দিয়ে ট্যাক্সি ক্যাব কল করেন। এ সময় তিনি চিৎকার করে সহযোগিতাও চান। মুহুর্তে আহাদ আলী ফিরে এসে মহিলার কাছ থেকে ফোন কেড়ে নেন। পরবর্তীতে ক্যাব ড্রাইভার পুলিশ ডাকেন। ক্যাব ড্রাইভারের কাছ থেকে ঠিকানা সংগ্রহ করে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ।  পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৭ তলার উপরে নিজের ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে লাফিয়ে  নিচে পড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আহাদ আলী। এতে অবশ্য তার হাত ও পা ভেঙ্গে যায়। প্রায় ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে ৪০ বছর বয়সী এস্কোর্ট মহিলাকে আটকে রেখে হত্যার হুমকি দিয়ে যৌন হয়রানী এবং ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করে।  যদিও আহাদ আলী প্রথমে দাবী করেছিলেন, ওই মহিলা মিথ্যা অজুহাত দিয়ে তাকে বিপদে ফেলছে। অবশ্য পরবর্তীতে তদন্তে সব অভিযোগের প্রমাণ উদ্ধার করে পুলিশ। ভুক্তভোগি মহিলার বিচারে মোবাইল কোম্পানীও সহযোগিতা করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Man jailed for rape in East London

 A Stepney man who imprisoned an escort in a flat, raped her four times and leapt from a seventh storey window to evade arrest has been jailed for 12 years.

Ahad Ali was sentenced on Monday at Woolwich Crown Court for a series of rape, sexual and violent offences after making a booking with the victim online.

The 21-year-old from Sidney Street had previously lied in a police interview that she made up the allegations but was convicted by a jury on August 25.

The victim, aged in her 40s, was working for an escort agency and went to Ali’s flat on February 13 at 9pm.

Once she was inside, Ali pushed her into his bedroom and locked the door.

He then grabbed her by the hair and held a knife to her throat before raping her four times; threatening to kill her if she did not do what he said.

The victim managed to call a taxi driver when Ali briefly left the room and screamed for help before he grabbed the phone off her.

The cabbie called police to the address and officers forced entry to the flat.

In a desperate bid to escape arrest, Ali jumped from a window, fracturing his arm and leg in the fall.

But he was arrested and charged after spending 10 days in hospital.

Ali was found guilty of four counts of rape, one charge of false imprisonment, one charge of threats to kill and one charge of sexual assault by penetration.

Officers from the Child Abuse and Sexual Offences Command “built up a strong case” against him after taking statements from the victim and the taxi driver, the Met said.

Mobile phone analysis was also used to support the victim’s account.

Investigation lead DC Stav Georgiou-Moran said: “Ahad Ali is a predatory individual who targeted a vulnerable female. This was a premeditated, violent attack that involved the use of a large knife to threaten the victim.

“I would like to praise the courage and bravery of the victim in giving evidence against the defendant. Anyone who has been the victim of sexual violence is advised to tell someone they trust or inform the police.”

Advertisement