ইস্ট লন্ডন মসজিদের উদ্যোগে শতাধিক মুসলিম, নন-মুসিলমের অংশগ্রহণে ইন্টারফেইথ ইফতার অনুষ্ঠিত

ইস্ট লন্ডন মসজিদের উদ্যোগে শতাধিক মুসলিম ও নন-মুসলিমের অংশগ্রহণে “সাপোর্টিং রিফিউজি : অ্যা ডিভাইন কল” শীর্ষক এক ইন্টারফেইথ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অতিথির বক্তব্যে বেথনালগ্রীন এন্ড বো আসনের এমপি রুশনারা আলী বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে ৮২ মিলিয়নেরও বেশি শরনার্থী রয়েছেন । এটি বিশ্ববাসীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদেরকে সরকারের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আর টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র জন বিগস বলেছেন, ইস্ট এন্ড সর্বদা অভিবাসীদের পুনর্বাসনে প্রশংসনীয় ভুমিকা পালন করে আসছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিবাসীরা এখানে এসে বসবাস করেন।  ইস্ট এন্ড বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্থ থেকে আসা অভিবাসীদের এক মিলনস্থল।

গত ১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লন্ডন মুসলিম সেন্টারের প্রথমতলায় মসজিদের ট্রাষ্টি হারুন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাপর্বে আরো বক্তব্য রাখেন  ইস্ট লন্ডন মস্ক এন্ড লন্ডন মুসলিম সেন্টারের ফাইন্যান্স এন্ড এনগেইজমেন্ট ডাইরেক্টর দেলওয়ার খান, টাওয়ার হ্যামলেটস ইন্টাফেইথ ফোরামের চেয়ারম্যান ফাদার অ্যালান গ্রীন, ওসমানী ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক শায়েখ শাফিউর রহমান, নেলসন স্ট্রিট সিনাগগের প্রেসিডেন্ট লিওন সিলভার, টেলকো কর্মকর্তা পিল ওয়ারবাটন ও মারিয়াম সেন্টারের প্রধান সুফিয়া আলম। শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন শায়খ মোহাম্মদ বিন সাদিরা।
ফাদার অ্যালান গ্রীন বলেন, শরনার্থীদের সাথে ভালো ব্যবহার করা, তাদেরকে দেখাশোনা করা  আমাদের ধর্মের কেয়ার ও ভালোবাসার অংশ । তিনি বলেন, নবী ইব্রাহিমের ধর্ম অনুযায়ী শরনার্থীদের দেখা-শোনা করা এবং তাঁদেরকে প্রতিবেশী হিসেবে গণ্য করা আমাদের দায়িত্ব। এটি আমাদের সংস্কৃতিরও অংশ।
নেলসন স্ট্রিট সিনাগগের প্রেসিডেন্ট লিওন সিলভার বলেন, আমরা  ইস্ট এন্ডের বাসিন্দারা অনেকাংশেই শরণার্থী সম্প্রদায়ের উত্তরসুরী । আমাদেরকে একটি কথা ভাবতে হবে, আমাদের সৃষ্টিকর্তা একজন এবং আমরা প্রত্যেকেই সমানভাবে একটি উন্নত ও শান্তিপুর্ণ জীবন চাই। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Advertisement