একঘেয়ে জীবন বদলানোর ৩ উপায়

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইসমাত আরা মালিক। বেশ ভালো বেতনে চাকরি করছেন। স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ ভালো আছেন। আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে তেমন ভাবনা নেই। প্রতিদিন অফিসে যাচ্ছেন নিয়মিত। পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে বোঝাপড়া বেশ ভালো ইসমাতের। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছে, তারপরও কোথাও যেন অপূর্ণতা তাঁর। ঘড়ির কাঁটা ধরে চলা জীবনের কোথায় যেন প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির খটকা রয়ে গেছে তাঁর। ইসমাতের মতো আমরা অনেকেই জীবনে চলার পথে প্রাপ্তির যোগফলে নিজেকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। আজ পড়ুন এমনই কয়েকটি অভ্যাসের কথা, যা করলে আপনার জীবন আরও রঙিন হবে।

যা করতে ভয় পান তা প্রতিদিন করুন

একঘেয়ে জীবনকে রাঙাতে প্রতিদিন এমন একটি কাজ করুন, যা করতে আপনি ভয় পান। যেমন হয়তো জনসমক্ষে বা সবার সামনে কথা বলতে ভয় পান। প্রতিদিন নিজের কথার শক্তি প্রমাণের জন্য অনেকের সামনে কথা বলার চেষ্টা করুন। নিজের কোনো জড়তা কাটাতে প্রতিদিন একটু একটু করে চেষ্টা করুন। যে কাজ করতে ভয় পান, তা একটু একটু করার চেষ্টা করুন। দেখবেন জীবনে হুট করেই পরিবর্তন চলে এসেছে। ব্যাপারটা অনেকটা এমন, আপনি হয়তো ৪০ মাইল দৌড়ানোর স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু দৌড়াতে পারবেন না বলে ভয় পান। আজই ১ মাইল দৌড়ানোর চেষ্টা করুন। ১ মাইল ১ মাইল করে অনেকগুলো মাইল মিলে একদিন কিন্তু ৪০ মাইল হয়ে যাবে।

যা করতে ভালোবাসেন তা নিয়মিত করুন

আমরা কর্মক্ষেত্রে অনেক কাজ নিজের অনিচ্ছায় করে যা-ই অনেক দিন। নিজের ভালো লাগা কিংবা যে কাজটি ভালো পারি, তা করার সুযোগ পাই না। প্রত্যেক মানুষেরই সহজাত কোনো না কোনো প্রতিভা আছে। নিজের মধ্যের সেই আগ্রহের বিষয়টি খুঁজে বের করুন। হয়তো ভালো ছবি আঁকেন অথচ অফিসে হিসাবরক্ষণ বিভাগে সারা দিন ব্যস্ততা কাটে আপনার। আপনার ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে কিছুদিন কর্মক্ষেত্রের নকশা বা অলংকরণ বিভাগে কাজ করে দেখতে পারেন। কিন্তু নিজের আঁকা ছবিগুলো সাহস করে কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় জমা দিতে পারেন, যা করতে ভালোবাসেন, তার দিকে একটু গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

কাজ ভাগ করে এগিয়ে চলার অভ্যাস করুন

আমরা কোনো কাজ করতে গিয়ে ব্যর্থ হলে নিজেকে দোষারোপ করি। ব্যর্থতার অনেক রং থাকে। কাজ শুরুর পর ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করে সামনে এগোতে থাকুন। ছোট ছোট অর্জনে বিশাল কাজে সাফল্য আসে। বড় কাজ অনেকগুলো ভাগে ভাগ করতে শিখুন। সেই ভাগ করা কাজগুলো নিজে কিংবা অন্য কাউকে দিয়ে করানোর চেষ্টা করুন। ছোট ছোট অর্জনে আমরা অবচেতনভাবেই নিজেকে অনুপ্রাণিত করি, আর সেই অনুপ্রেরণা আমাদের বড় কাজে উৎসাহ দেয়।

Advertisement