একটি কুচক্রীমহল এই অভিযানে খুশি নন: ওবায়দুল কাদের

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: দুর্নীতির চক্র ভেঙে দিতেই সারা দেশে শুদ্ধি অভিযান চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, সারা দেশে যে শুদ্ধি অভিযান চলছে তা কোনো দল বা গোষ্ঠীর মধ্যে নয়। বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতির চক্র ভেঙে দিতেই এ অভিযান। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন এবং মাদক-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ অভিযান দেশের শান্তির জন্য।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ শেষে তিনি এ সব কথা বলেন।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে এই বস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি কুচক্রী মহল এই অভিযানে খুশি নন। তারা দেশের মানুষের শান্তি চায় না। এরা সবার শত্রু, ওরা হিন্দুদের সম্পদের দিকে তাকায়। দখল করতে চায়। এই মহলের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

যত বড় প্রভাবশালী হোক যারা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দিতে চায় তারা কেউই ছাড় পাবে না- এমন হুশিয়ারি উচ্চারণ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের প্রতি দলের সভাপতির নির্দেশ রয়েছে। তৃণমূলের কমিটি গঠনে বিতর্কিতদের স্থান না দেয়ার নির্দেশনা আছে।

তিনি বলেন, এ অভিযান দলে অনুপ্রবেশকারী, স্বাধীনতাবিরোধী, অপকর্মকারী, চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজদের বিরুদ্ধে। যারা ‘মাইনোরিটির’ সম্পদ দখল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযান।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা একসঙ্গে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে কাজ করব।

হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে হিন্দু সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে পূজা উৎসব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পালন করতে পারেন।

পূজা উৎসবকে ঘিরে সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে আপনারা মাথা উঁচু করে চলবেন। আপনাদের কোনো ভয় নেই। আপনারাও এ দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক। মুসলমানদের চেয়ে আপনাদের মর্যাদা কম নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আপনাদের পাশে রয়েছে। পূজা উদযাপনে কোনো অপশক্তি যেন বাধা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি রাখতে হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোররঞ্জন মণ্ডল প্রমুখ।

Advertisement