এসি মিলানকে উড়িয়ে দিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এলো ল্যাজিও

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন এসি মিলানকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সিরি-এ লিগে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ল্যাজিও। বড় এই পরাজয়ে লিগ শিরোপা ধরে রাখা হুমকির মুখে পড়লো মিলানের।ইন্টার মিলান ও রোমার চেয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে ও এসি মিলানের থেকে এক পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে ল্যাজিও।রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোতে সম্ভবত মৌসুমের সবচেয়ে বাজে পারফরমেন্স করেছে কাল মিলান। সার্গে মিলিনকোভিচ-সাভিচ তিন মিনিটের মধ্যে প্রথম সুযোগেই ল্যাজিওকে এগিয়ে দেন। ৩৮ মিনিটে মাত্তিয়া জাক্কাগনি স্বাগতিকদের ব্যবধান দ্বিগুন করেন। লুইস আলবার্তো পেনাল্টি থেকে ম্যাচের মাঝামাঝিতে দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। ৭৫ মিনিটে মিলান শিবিরে শেষ আঘাত জানেন ফিলিপ এ্যান্ডারসন।কোচ মরিজিও সারির অধীনে ভবিষ্যতে শিরোপা জয় সম্ভব বলে বিশ^াস করেন মিলিনকোভিচ-সাভিচ। ম্যাচ শেষে সার্বিয়ান এই মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘গত কয়েক ম্যাচে আমরা যেভাবে খেলেছি তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে আমরা অনেক দুর যেতে পারবো। আমরা যদি চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে এভাবে খেলতে পারি তাহলে কেন লিগ শিরোপা জয় করতে পারবো না।

মৌসুমের মাঝামাঝিতে এসে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা নাপোলির তুলনায় ১২ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে মিলান। লিগে টানা তিন ম্যাচে মিলানের জয়বীহিন থাকার সুযোগ নাপোলি তাদের ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে। একইসাথে চারটি দল দ্বিতীয় স্থানের জন্য মিলানের ঘাড়ের উপর নি:শ^াস ফেলছে। তাদের থেকে মাত্র এক পয়েন্টে পিছিয়ে থাকা তিনটি দলের মধ্যে ল্যাজিও একটি। ইন-ফর্ম আটালান্টা দুই পয়েন্ট পিছিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে, তারাও ভালভাবেই শীর্ষ চারে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রান্সফার বিষয়ে অস্বচ্ছতার জেড়ে ১৫ পয়েন্ট কেটে নেয়া হয়েছে জুভেন্টাসের। এই ঘটনায় অন্তত স্বস্তি মিলতে পারে মিলানের। নাহলে তুরিনের জায়ান্টদের থেকে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকতে হতো বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।মিলান কোচ স্টিফানো পিওলি বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে অনেক কিছুই প্রত্যাশা মাফিক হচ্ছেনা। মানসিক ও কৌশলগত দিক থেকে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। কারন এমন একটি পরিস্থিতিতে আমরা দাঁড়িয়ে আছি যা বেশ অস্বস্তিকর। আজকের ম্যাচে প্রথম দুটি গোল অবশ্যই ভিন্নভাবে আমাদের প্রতিরোধ করা উচিৎ ছিল। কিন্তু কোনকিছুই আমাদের পক্ষে কাজ করছে না। আমরা যেমন খেলে থাকি সেই ধারায় দ্রুতই ফিরে আসতে হবে। এটাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। যত দ্রুত সম্ভব তা করার চেষ্টা করতে হবে।মরিজিও সারির দল তাদের তারকা স্ট্রাইকার সিরো ইমোবিলেকে দলে পায়নি। বিন্তু মিলানের রক্ষনভাগকে বারবার ভাঙতে তাদের কোন সমস্যাই হয়নি। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ পাঁচ ম্যাচে মিলান ১২ গোল হজম করেছে। ম্যাচের শুরুতেই ফ্রান্সের থিও হার্নান্দেজকে হারায় মিলান। ২৪ মিনিটে ইনজুরিতে পড়েন সেন্টার-ব্যাক ফিকায়ো টোমোরি। স্টপেজ টাইমে ফুল-ব্যাক ডেভিড কালাব্রিয়াও ইনজুরিতে পড়েছেন। ইনজুরির এই ঘটনাগুলো মিলানের জন্য দু:সংবাদ বয়ে এনেছে। মিলান ডার্বি অনুষ্ঠিত হতে ১৫ দিনেরও কম সময় বাকি রয়েছে। গত সপ্তাহে সুপার কাপে ইন্টার মিলানের কাছে শিক্ষা পেয়েছে এসি মিলান। এছাড়া টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর ম্যাচটিও আসন্ন। সব মিলিয়ে মিলানকে এখন নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার দিকে বেশী মনোযোগী হতে হবে।

Advertisement