ওয়ানডেতে মাশরাফিহীন যুগের শুরু

ব্রিট বাংলা ডেস্ক : পৌষের দুপুরেও রোদটা অনেক চড়া ছিল। সোমবার ভরদুপুরে রোদের তাপটা ভালোই টের পেয়েছেন জাতীয় দলের দুই নির্বাচক ও গণমাধ্যমকর্মীরা। বিসিবি একাডেমি ভবনের সামনে দাঁড়ানো মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশারকে অবশ্য এর সঙ্গে ঝাঁঝালো প্রশ্নের চাপও হজম করতে হয়েছে।

রীতিমতো প্রশ্নে জর্জর হয়েছেন নির্বাচকরা। কারণ ১১টি প্রশ্নের ৮টিই ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজা কেন্দ্রিক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আসন্ন হোম সিরিজের জন্য নিছকই প্রাথমিক দল ঘোষণা করতে এসে গলদঘর্ম হলেন দুই নির্বাচক। দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত স্কোয়াডের মাধ্যমেই বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কার্যত মাশরাফিহীন যুগের সূচনা হলো। ঘোষিত ২৪ সদস্যের ওয়ানডে স্কোয়াডে সাবেক এই অধিনায়ককে রাখেননি নির্বাচকরা।

তাই করোনায় ১০ মাসের বিরতি, করোনাকালে প্রথম সিরিজের আকর্ষণ ছাপিয়ে প্রাথমিক দলে মাশরাফির না থাকার খবরটাই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলো। দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবার ইনজুরি, ব্যক্তিগত কারণ ছাড়া ওয়ানডে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়লেন মাশরাফি। টেস্ট খেলেন না ২০০৯ সাল থেকে, ২০১৭ সালে টি-২০ থেকে অবসর নিয়েছেন। গত বছর মার্চে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব ছাড়লেও ক্রিকেটার হিসেবে অবসর নেননি তিনি। আর তাতেই বাদ পড়ার তিক্ততা হজম করতে হলো তাকে।

নির্বাচকরা স্পষ্টভাবেই বলেছেন, ৩৭ বছর বয়সী মাশরাফিকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত কঠিন ছিল। টিম ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচকদের ২০২৩ বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় নেই তিনি। তাই কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক, বোর্ড- সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্তে মাশরাফিকে ছাড়াই সামনে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সোমবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন, ‘আমাদের রেসপেক্ট ওর প্রতি আছেই এবং আমাদের দেশের জন্য অনেক কিছু দিয়েছে। এটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। তারপরও বাস্তবতা আমাদের মানতেই হবে। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সবাই সম্মিলিত ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মাশরাফিকে বাদ দিতে হয়েছে। সেই হিসেবে আমি মনে করি যে নতুন ভাবে যে চলা, ওর জায়গায় যেই খেলবে তার জন্য অবশ্যই এটা অনেক বড় সুযোগ।’

২৪ সদস্যের ওয়ানডে স্কোয়াড: তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সৌম্য সরকার, ইয়াসির আলী রাব্বি, নাঈম শেখ, তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন, শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, পারভেজ হোসেন ইমন, শেখ মেহেদী হাসান ও রুবেল হোসেন।

২০ সদস্যের টেস্ট স্কোয়াড: মুমিনুল হক, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস, ইয়াসির আলী রাব্বি, সাইফ হাসান, আবু জায়েদ রাহী, তাসকিন আহমেদ, খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নুরুল হাসান সোহান, সাদমান ইসলাম, নাঈম হাসান ও এবাদত হোসেন।

Advertisement