করোনায় চট্টগ্রামে ৫৩৯ জন আক্রান্ত

চট্টগ্রামে করোনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ১৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর আট ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ৩ হাজার ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৫৩৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের ৩৪৪ ও ১৪ উপজেলার ১৯৫ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২২ হাজার ১১১ জন। এর মধ্যে শহরের ৮৮ হাজার ৯৪৫ ও গ্রামের ৩৩ হাজার ১৬৬ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ মিরসরাইয়ে ৩১, ফটিকছড়িতে ২৯, হাটহাজারীতে ২১, সাতকানিয়ায় ১৯, রাউজানে ১৭, বোয়ালখালীতে ১৪, পটিয়ায় ১১, সীতাকু-ে ৯, রাঙ্গুনিয়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশ ও আনোয়ারায় ৮ জন করে, লোহাগাড়ায় ৭ জন ও সন্দ্বীপে ৫ জন। গতকাল শহর ও গ্রামে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৫৯ জন রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৫ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল ৫৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ১৩৭ ও গ্রামের ৩৮ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৭৩টি নমুনা পরীক্ষায় শহর ও গ্রামের ৫টি করে সংক্রমিত চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৫৫ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৫১ ও গ্রামের ৩৮ জনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২৪২ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৩১ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।

বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৫৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪১ ও গ্রামের ২৮টিতে করোনার জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৩১ ও গ্রামের ১১ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৯৪টি নমুনায় শহরের ২৯ ও গ্রামের ১৩টিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ২৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৮ ও গ্রামের ৬টিতে ভাইরাস উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ১৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৪১ ও গ্রামের ১৩ জনের দেহে সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৩২৮টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের এক ও গ্রামের ১২টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে চট্টগ্রামের ২৪ জনের নমুনা পাঠানো হয়। পরীক্ষায় গ্রামের ৭ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে।ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, বিআইটিআইডি’তে ৩২ দশমিক ২৮, চবি’তে ১৩ দশমিক ৭০, সিভাসু’তে ৩৪ দশমিক ৯০, এন্টিজেন টেস্টে ১২ দশমিক ৮১, শেভরনে ১২ দশমিক ২৩, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১২ দশমিক ২১, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১০ দশমিক ৬৬, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৫ দশমিক ১১, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩১ দশমিক ০৩ এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

Advertisement