করোনায় মৃত্যু ৪০ লাখ ৪২ হাজার ছাড়াল

বিশ্বজুড়ে চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সংক্রমণের সংখ্যা কমেছে। একই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যাও। গেল ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাত হাজার দুই শতাধিক মানুষ। একই সময়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে চার লাখ ২১ হাজার।সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। একই সঙ্গে দৈনিক মৃত্যুতেও ব্রাজিল রয়েছে শীর্ষে। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ কোটি ৭২ লাখের ঘর। এ দিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ লাখ ৪২ হাজার।রবিবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডো মিটারস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাত হাজার ২৬৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে প্রায় এক হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪০ লাখ ৪২ হাজার ২৮০ জনে।এছাড়া একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ ২১ হাজার ৮৭০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৬৬ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৭২ লাখ ৪১ হাজার ৬১৭ জনে।

আরও পড়ুন : সৌদি-আমিরাত দ্বন্দ্বে বিরূপ প্রভাব পড়ছে তেলের বাজারেকরোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২২ হাজার ৮২০ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ১৭২ জন এবং নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৫০৪ জন। অন্য দিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৯০ লাখ ৬৯ হাজার তিনজন এবং মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখ ৩২ হাজার ৯৪৯ জনের।অন্য দিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৯৯ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৪৭৫ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত তিন কোটি আট লাখ ৩৬ হাজার ২৩১ জন এবং মারা গেছেন চার লাখ আট হাজার ৭২ জন।

এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৮ লাখ ৮ হাজার ৩৮৩ জন, রাশিয়ায় ৫৭ লাখ ৫৮ হাজার ৩০০ জন, যুক্তরাজ্যে ৫০ লাখ ৮৯ হাজার ৮৯৩ জন, ইতালিতে ৪২ লাখ ৬৯ হাজার ৮৮৫ জন, তুরস্কে ৫৪ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৪ জন, স্পেনে ৩৯ লাখ ৩৭ হাজার ১৯২ জন, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৪৩ হাজার ১৩৮ জন এবং মেক্সিকোতে ২৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৪০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।অপর দিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ৩২১ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৪২ হাজার ২৫৩ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ৩৯৯ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৬৮ জন, তুরস্কে ৫০ হাজার ১৯২ জন, স্পেনে ৮১ হাজার তিনজন, জার্মানিতে ৯১ হাজার ৭৫৯ জন এবং মেক্সিকোতে দুই লাখ ৩৪ হাজার ৬৭৫ জন মারা গেছেন।উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

Advertisement