spot_img
শুক্রবার, মার্চ 29, 2024
Home মতামত করোনা ভাইরাস কি বিশ্বের সব চাইতে শক্তিধর দেশের ইতিহাস পাল্টে দিতে পারে?

করোনা ভাইরাস কি বিশ্বের সব চাইতে শক্তিধর দেশের ইতিহাস পাল্টে দিতে পারে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আর হাতে গুনে ঠিক এক মাস বাকী। ঠিক এ সময়ে  ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অসুস্থতা এবং হাসপাতালে স্থানান্তরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেবলমাত্র মার্কিনীদের মনেই নয়, গোটা বিশ্বের মানুষের মনে জন্ম নিচ্ছে নানা প্রশ্নের। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধান এবং খোদ বিরোধী ডেমোক্র্যট দলের প্রসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আশু আরোগ্যলাভ কামনা করেছেন। তবে বিশ্ব রাজনীতি যেন থমকে গেছে একটি প্রশ্নের উপর- আসলে কি হবে মার্কিনী নির্বাচনের ভবিষ্যত যদি ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট এবং রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী  ডনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের আগে সুস্থ না হন; কি হবে যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থা আরো গুরুতর হয় অথবা যদি ডনাল্ড ট্রাম্প আর কখনো সুস্থ হয়ে হোয়াইট হাউসে ফিরে না আসেন?
আমরা দেখেছি করোনায় আক্রান্ত বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্যে ডমিনিক রাবকে তাঁর হয়ে দ্বায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বরিস। সঙ্গত কারণেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে আমরা তা দেখিনি। হাসপাতালে যাওয়ার প্রাক্কালে ডনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্যে হলেও দ্বায়িত্ব দিয়ে যাননি। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে হয়তো তিনি তাঁর ভোটারদের তাঁর প্রতি আস্থা হারিয়ে যাক – তা চাননি। বিশেষ করে যেসব ভোটার শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেয় সে ধরনের ভোটারদের তিনি হারাতে চাইবেন না নিশ্চয়ই। এমন কি হাসপাতালে বসে তিনি দাপ্তরিক কাজ করছেন- ট্রাম্পের কন্যা তাঁর বাবার এমন একটি ছবি দিয়ে টুইট বার্তায় লিখেছেন, “নাথিং ক্যান ষ্টপ হিম ফ্রম ওয়ার্কিং ফর দ্যা আমেরিকান পিপল”। যদিও সমালোচকগণ বলছেন এটি দেশবাসীকে দেখাবার জন্যে এবং ডনাল্ড ট্রাম্প সাদা কাগজে কিছু একটা লিখছেন। সে যাই হোক, আমার এ লিখা অবশ্য সে বিষয়ে নয়। বিষয়টি হচ্ছে বয়স এবং ওভার ওয়েটের মত ফ্যাক্টরের কারণে যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পর অবস্থা আসলেই খারাপের দিকে যায় তাহলে কি হবে নির্বাচনের অবস্থা আর কোন দিকেই বা এগুচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যত?

 

Advertisement