কানাডায় প্রচণ্ড দাবদাহে ২২৩ জনের মৃত্যু

শীতপ্রধান দেশ কানাডায় বইছে মরুভূমির তাপমাত্রা। রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত কানাডার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।তীব্র দাবদাহে গত শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত ২৩৩ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় শুধু ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশেই এ সংখ্যক মানুষ গরমে প্রাণ হারিয়েছেন। খবর সিএনএনের।এ পরিস্থিতিকে ‘নজিরবিহীন’ আখ্যা দিয়েছেন প্রাদেশিক প্রধান। কানাডায় গত এক সপ্তাহ ধরে দাবদাহে নাকাল জনসাধারণ।গরমের দাপটে ঘর থেকে বের হওয়াই বড় কঠিন। প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপামাত্রা, যা বিগত ১০০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।শীতপ্রধান দেশটিতে এমন অস্বাভাবিক তাপমাত্রায় নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে বেশি মারা যাচ্ছেন বৃদ্ধরা।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই দেশটিতে রেকর্ড ভাঙা দাবদাহ চলছে বলে দাবি পরিবেশবাদীদের। দাবদাহে শিশু থেকে বৃদ্ধরা দীর্ঘস্থায়ী জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ বলছে— ভ্যাঙ্কুভার এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকা বার্নাবে ও সারেতে আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে।সরকার জানিয়েছে— গত চার দিনেই ১৩০ জন মারা গেছেন। আর গত শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত ২৩৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।ভ্যাঙ্কুভারেই এখন পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এখানকার তাপমাত্রা এতটাই বেশি যে, আগে মনে হয় বাতাসে আগুনের হল্কা বের হচ্ছে।ভ্যাঙ্কুভারে গত শনিবার ৯৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছিল, যা সোমবার ১০০ ছাড়ায়।মঙ্গলবার টানা তৃতীয় দিনের মতো কানাডার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার লিটন গ্রামে। ওই এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অর্থাৎ ১২১ ডিগ্রি ফারেনহাইট।আপাতত তাপামাত্রা কমার লক্ষণ না থাকায় সাধারণ মানুষকে সাবধানে চলাফেরার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।বিশেষ করে পর্যাপ্ত পানি পানের কথা বলছেন চিকিৎসকরা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

Advertisement