কাল ময়মনসিংহ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, উৎসবের আমেজ

আগামীকাল শনিবার (১১ মার্চ) ময়মনসিংহে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে ময়মনসিংহ সেজেছে নতুনরূপে। নগরীর প্রতিটি সড়ক ও মহাসড়ক ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে সেজেছে পুরো শহর। নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ছাপিয়ে অলিগলিতেও শোভা পাচ্ছে বাহারি সব রঙের ব্যানার তোরণ। বর্ণিল লাইটিং ও রংতুলির আঁচড়ে নগরীকে সাজানো হয়েছে।ময়মনসিংহ নগরীর প্রবেশপথ শিকারিকান্দা থেকে নগরীর মাসকান্দা বাইপাস, চরপাড়া, নতুনবাজার, গাঙ্গিনারপাড়, টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড, কাঁচিঝুলি, টাউনহল মোড়সহ নগরীর বিভিন্ন মোড়কে সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ব্যানার দিয়ে।প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।শনিবার ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস ময়দানে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রায় ১৫ লাখ লোক সমাগম ঘটবে বলে প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ। বসে নেই দলটির অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও।দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রিয় নেত্রীকে বরণ করে নিতে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যে পৃথক বর্ধিত সভা করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নগরীর প্রতিটি সড়কে দিনরাত চলছে মাইকিং।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহবাসীর জন্য যা চিন্তা করেছিলেন, আমার মনে হয় তার চেয়ে অনেক বেশি আমাদের দিয়েছেন। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা বিভাগ, সিটি করপোরেশন, শিক্ষা বোর্ড, স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো উন্নয়ন, নদী খননসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা যখন দাবি তুলেছি তার সব কিছুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের উপহার দিয়েছেন। এ কৃতজ্ঞতা থেকেই দলীয় সভানেত্রীকে স্বাগত জানাতে আমরা সর্বোচ্চটুকু করছি। আশা করছি জনসভায় ১০ থেকে ১৫ লাখ লোকের সমাগম ঘটতে যাচ্ছে।জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে। নেতা-কর্মীরা জনসভা সফল করতে দিনরাত মাঠে কাজ করছেন। প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে বাদ্য-বাজনা সহকারে সমাবেশ যোগ দেবেন।মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত বলেন, বিগত সময়ে আমরা ময়মনসিংহবাসী প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছু চাইনি। নেত্রী যা অনুধাবন করেছেন আমাদের তাই দিয়েছেন। আমরা তাতেই খুশি। এবারও চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। নেত্রী যা দেবেন আমরা তাতেই খুশি থাকব।পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভুঞা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাদা পোশাকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জনসভার দিন শহরজুড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। সঙ্গে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবে।এর আগে সবশেষ ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর ময়মনসিংহে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠের বিশাল জনসভায় ১০৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৯৩টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনসহ ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement