কাশ্মীরে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে ও বোন আটক

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়ায় সেখানকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহর মেয়ে ও বোনকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার অঞ্চলটির বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রের অধীনে নিয়ে আসে ভারত সরকার। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার শ্রীনগরের লালচক এলাকায় সরকারবিরোধী মিছিল করেন অনেকজন নারী। মিছিলে সরকারবিরোধী স্লোগান তীব্র হওয়া শুরু হলে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে।তাদের মধ্যে ফারুক আব্দুল্লাহর মেয়ে সাফিয়া আব্দুল্লাহ খান এবং বোন সুরাইয়া আব্দুল্লাহও ছিলেন।

গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। এরপর প্রায় চার মাস পুরো রাজ্যকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এ চারমাস কাশ্মীরের প্রায় সব রাজনৈতিক নেতা ও তাদের পরিবারগুলোকে গৃহবন্দী করে রাখে মোদি সরকার। অবশেষে ১৩ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে জম্মু ও কাশ্মীরকে আলাদা করে কেন্দ্রের অধীনে নিয়ে আসা হয়। এর প্রতিবাদে বেশ কয়েকজন নারী প্রতাপ পার্কে জড়ো হয়। এ সময় তাদের হাতে ছিলো প্ল্যাকার্ড। এক পর্যায়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে্ তারা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয় এবং বেশ কয়েক জন নারীকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে ফারুক আব্দুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও ছিলেন কাশ্মীরের সাবেক প্রধান বিচারপতি বশির আহমদ খানের স্ত্রী হাওয়া বশির। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অন্যদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদও ছিলেন।

আটক হওয়ার সময় সুরাইয়া বশির সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট আমাদেরকে বাড়ির ভেতর আটকে রেখে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সুরাইয়া ‘জোর করে বিয়ে’ দেয়ার সাথে তুলনা করে ‘বিয়ে’ টিকবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রী ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করবেন বুধবার

উল্লেখ্য, কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা বাতিলের পর থেকে সরকার রাজ্যের দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ ও উমর আব্দুল্লাহসহ সেখানকার নেতৃস্থানীয় কয়েকশ’ নেতাকে গৃহবন্দী ও আটক করে রাখে। পাশাপাশি রাজ্যটিকে কেন্দ্র শাসিত দুটি রাজ্যে ভাগ করার ঘোষণা দেয়। অবশেষে ১৩ অক্টোবর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করে বিজেপি সরকার।

Advertisement