কেইম্যান আইল্যান্ডের গভর্নর পদ থেকে বরখাস্ত আনোয়ার চৌধুরী

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত কেইম্যান আইল্যান্ডের গভর্নরের পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ কূটনীতিক আনোয়ার চৌধুরীকে। অঞ্চলটির গভর্নরের কার্যালয় বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছে।

তিন মাস আগে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত কয়েকটি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় চৌধুরীকে। এরপর বৃহস্পতিবার তদন্ত শেষে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় কেইম্যান আইল্যান্ডের গভর্নরের কার্যালয়।

এক বিবৃতিতে গভর্নরের কার্যালয় বলেছে, চৌধুরীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত বেশ কয়েকটি অভিযোগের তদন্ত শেষে তাকে কেইম্যান আইল্যান্ডের গভর্নর পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো। তবে লন্ডনে ভিন্ন একটি কূটনৈতিক পদে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শীঘ্রই একজন অস্থায়ী গভর্নর নিয়োগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি স্থায়ীভাবে গভর্নরের দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আনোয়ার চৌধুরীর বরখাস্ত হওয়া নিয়ে ফরেইন ও কমনওয়েলথ অফিস (এফসিও) থেকে আর কোন মন্তব্য প্রকাশ করা হবে না। প্রসঙ্গত, চৌধুরীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর তদন্ত করেছে এফসিও।

চলতি বছরের মার্চ মাসে কেইম্যান আইল্যান্ডের গভর্নর হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন আনোয়ার চৌধুরী। শপথ গ্রহণের তিন মাসের মাথায় জুন মাসে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ উত্থাপিত হয়। তখন অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের খাতিরে তার বরখাস্ত হওয়ার ঘোষণা দেন কেইম্যান আইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এলডেন ম্যাকলাফিন। তবে কি অভিযোগের কারণে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, আনোয়ার চৌধুরী ছিলেন প্রথম ব্রিটিশ বাংলাদেশি তথা এশিয়ান যিনি ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত কোনো আইল্যান্ডের প্রধান বা গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী ২০১৩ সালে পেরুতেও রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন বিভাগের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

Advertisement