গত ১৫ বছরে ৪৬৪ জনের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করেছে হোম অফিস

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : গত ১৫ বছরে শত শত মানুষের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছে হোম অফিস। এর মধ্যে সবচাইতে বেশি আলোচিত হলেন ইস্ট লন্ডনের বাসিন্দা শামীমা বেগম।  মাত্র ১৫ বছর বয়সে আইএসে যোগ দেওয়ার জন্যে সিরিয়ায় পাড়ি জমানোর পর সাবেক হোম সেক্রেটারী সাজিদ জাভিদ শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করেন। ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারীতে শামীমার নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার আপিলও খারিজ করে ব্রিটিশ আদালত।

আরেক বাঙালী ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারিয়ে প্রায় ৫ বছর রাষ্ট্রহীন ছিলেন। তার উপর কোনো অভিযোগ বা মামলাও ছিল না। গোপন অভিযোগের ভিত্তিতেই তার নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

শত বছরের পুরনো আইন ব্যবহার করে ২০০৬ সাল থেকে ২০২০ সালের ভেতর এভাবে ৪৬৪ জনের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে হোম অফিস। ফ্রি মুভম্যান্ট নামে একটি ওয়েবসাইট এসব তথ্য প্রকাশ করেছে। কয়েকজন আইনজীবি দ্বারা পরিচালিত এই ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, ব্রিটিশ নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের আইনটি প্রবর্তন করা হয় ১৯১৪ সালে। কিন্তু ১৯৭৩ সালের পর আইনটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় ২০০৬ সাল থেকে। ২০০৬ সালের পর জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির অজুহাতে ১৭৫ জন এবং প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার অজুহাতে ২৮৯ জনের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা হয়। ফ্রিডম অব ইনফরমেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৬ সাল থেকে এই আইনে মামলার সংখ্যা বাড়তে থাকে। ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সালের ভেতরে ছিল  ৯ টি মামলা ছিল। তবে সবচাইতে বেশি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা হয় ২০১৭ সালে। এই এক বছরে ১৪৮ জনের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে হোম অফিস। এছাড়া ২০১৮ সালে ৭৩টি, ২০১৯ সালে ৮২ টি এবং ২০২০ সালে ৪২টি মামলা ছিল।

 

 

Advertisement