গাড়ি চালকদের সচেতন করতে তামাক নিয়ন্ত্রন আইনের কর্মশালা

গাড়ী চালানোর সকল আইন সর্ম্পকে জানার পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটিও জানা ও মানা জরুরী। কারণ আমাদের মধ্যে অনেক চালক তামাক গ্রহন থেকে মাদকের দিকে ঝুঁকে যায়, যার ফলে সড়ক পথে ঘটে দূর্ঘটনা তাই পাবলিক পরিবহন ও চালক তামাকমুক্ত রাখা জরুরী।

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত -২০১৩) এর যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর উদ্যোগে  ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহযোগিতায় পুনরায় শুরু হলো পেশাদার গাড়ী চালকদের তামাকনিয়ন্ত্রণ বিষয়ক ওরিয়েন্টশন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯,  সোমবার, সকাল ১০ টায় বিআরটিএ’র  জোয়ারসাহারা বাস ডিপো খিলক্ষেতের প্রশিক্ষণ কক্ষে “পেশাজীবি গাড়িচালকদের পেশাগত দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ” কার্যক্রমে গাড়িচালকরা একথা বলেন।

উক্ত প্রশিক্ষণে পেশাদার গাড়ী চালকদের মাঝে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্য ক্ষতি বিষয়ক তথ্য চিত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রতিনিধিবৃন্দ। প্রায় শতাধিক পেশাদার গাড়ী চালকদের মাঝে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যক্ষতি বিষয়ক ধারণা প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, গ্যাটস-২০১৭ সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৪৪%(২ কোটি ৫০ লক্ষ) (পুরুষ ৪৮%, নারী ৩৮.২%)। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে আইন সম্পর্কে সচেতনতা কম, তামাকজাত পণ্যের প্রচারনা, তামাকজাত দ্রব্যের সহজলভ্যতা এবং সর্বপরি আইনের সঠিক ও যথাযথ বাস্তবায়ন নেই। তামাক ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্য খাতে আর্থিক ব্যয় হ্রাসকরণ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরনের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারী ঢাকায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশীয় স্পীকার র্শীষক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের পূর্বেই বাংলাদেশ থেকে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিমূলের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Advertisement