চট্টগ্রামে করোনায় সংক্রমণ হার ৫ শতাংশের নিচে নেমেছে

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক অংকে এবং সংক্রমণ হার ৫ শতাংশের নিচে নেমেছে। এ সময়ে শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর নয় ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল চট্টগ্রামের ১৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫ জন ও দুই উপজেলার ৪ জন। সংক্রমণ হার ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাঙ্গুনিয়া ও সন্দ্বীপে ২ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৯১ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৭৩০ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৮৬১ জন। গতকাল কারো মৃত্যু না হওয়ায় জেলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন রয়েছে। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের একটি ও গ্রামের ২ টি নমুনায় করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২২ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের একজন সংক্রমিত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ১৮ জনের নমুনায় শহরের এক ও গ্রামের দুইজনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৬ জনের নমুনা থেকে শহরের একজনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ২৩ নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে ভাইরাস পাওয়া যায়।এছাড়া, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৫, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১১, মেডিকেল সেন্টার হাসপতালে ৭, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৮ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পাঁচ ল্যাবে পরীক্ষিত ৩৭ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৭ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে তাদের মধ্যেও আক্রান্ত পাওয়া যায়নি।এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ল্যাব এইড ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি। ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক ৫৪, চমেকহা’য় ১৬ দশমিক ৬৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩ দশমিক ৮৪, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং আরটিআরএল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ।

Advertisement