চীনে বিক্ষোভের পর লকডাউন শিথিল 

চীনের শীর্ষ কোভিড কর্মকর্তা দেশটির করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের অংশ হিসেবে গৃহীত কঠোর লকডাউন শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। দেশব্যাপী লকডাউন বন্ধ ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভের পর এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার।চীন সরকারের জিরো-কোভিড নীতির বিরুদ্ধে বেইজিং, সাংহাই ও গুয়ানঝোউসহ দেশটির প্রধান প্রধান শহরগুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এই জিরো-কোভিড নীতির অংশ হিসেবে দেশটির জনগণকে গণ-লকডাউন, ক্রমগত করোনা পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। এমনকি যারা করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়নি- তাদেরকেও জোরপূর্বক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে ও কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে।কিন্তু তা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ এই বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কঠোর ‘দমনপীড়নের’ হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সেই সাথে চলমান কঠোর লকডাউন শিথিল করারও ইঙ্গিত দিয়েছে।বুধবার জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সান চুনলান বলেন, ওমিক্রন ধরনটি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে এবং টিকাগ্রহণের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই নতুন পরিস্থিতিতে নতুন নীতি প্রয়োজন।তিনি তার এই সর্বশেষ বক্তব্যে চলমান জিরো-কোভিড নীতির কথা উল্লেখ না করে এটি শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, এটি খুব শিগগিরই শিথিল করা হতে পারে।এই কঠোর জিরো-কোভিড নীতির কারণে দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবন বিঘিœত হচ্ছে।চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল গুয়ানঝোউয়ে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর রেকর্ড সংখ্যক ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও ওই অঞ্চলের সপ্তাহ-ব্যাপী লকডাউন আংশিক শিথিল করার পর চুনলানের এই বক্তব্যটি এলো।বুধবার নগরীর হাইঝুসহ ১১টি ডিস্ট্রিক্টের সবগুলোর লকডাউন শিথিল করা হয়। হাইঝুতেই সম্প্রতি বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে।

Advertisement