ছিনতাইয়ের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২ জনের কারাদণ্ড

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: পনের লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শকসহ (এএসআই) দু’জনের ২ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার আদালত-৩-এর বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আসামিদের উপস্থিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলমগীর হোসেন এবং মাছুম বিল্লাহ। আলমগীর যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার কীর্তিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। আর মাসুম বিল্লাহর বাড়ি ঢাকার দোহার থানার উত্তর শিমুলিয়া গ্রামে।

মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, বাদি মো. ইলিয়াস ২০১৭ সালের ৪ঠা এপ্রিল বিকাল তিনটার দিকে তিনি রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় হঠাৎ ঢাকা মেট্টো-গ-১৯-০৯৭০ নম্বরের সাদা একটি প্রাইভেটকার তার সামনে এসে থামে। এরপর গাড়ি থেকে কয়েকজন লোক নেমে ডিবি পরিচয়ে দিয়ে তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর তারা ইলিয়াসের কাছে থাকা মানি এক্সচেঞ্জের ১৮ হাজার ৮০০ ইউএস ডলার (বাংলাদেশে যার বাজার মূল্য ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

ওই সময় ইলিয়াসের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে আসামিরা তাদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু উপস্থিত জনতা গাড়ি আটকে মাসুম বিল্লাহকে আটক করে এবং অপর চারজন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মাসুম বিল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম জানায়, সেসহ এএসআই আলমগীর, হাবিব ডলার, রাশেদ ও সুমন এ ঘটনায় জড়িত। এরপর এএসআই আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। এছাড়া আসামি মাসুম বিল্লাহ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

মামলাটি তদন্ত করে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. নূরে আলম সিদ্দিক ২০১৭ সালের ১৬ই এপ্রিল আলমগীর হোসেন ও মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পাশাপাশি হাবিব ডলার, রাশেদ, মো. সুমন ও সজলকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। একই বছরের ১৯শে জুন ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষগ্রহণ করেন।

Advertisement