জাপানের সর্ববৃহৎ আইটি মেলায় বাংলাদেশ

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: জাপানের সর্ববৃহৎ আইটি মেলায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। টোকিওর বিগ সাইটে বুধবার সকালে শুরু হওয়া মেলাটি আগামি ১১ মে পর্যন্ত চলবে। এশিয়ার তথ্য–প্রযুক্তিবিদদের জন্য জাপান আইটি উইক এক অনন্য প্লাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন দেশের আইটি প্রফেসনাল ও ব্যবসায়িগণ নিজেদের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় ও ব্যবসা চালু করার সুযোগ পান।
জাপানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথোরিটি এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর উদ্যোগে মেলায় অংশগ্রহণে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস)। বিগত ২০১৫ সাল থেকে জাপানের আইটি মেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী জনাব মোস্তফা জব্বারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিগণ জাপান আইটি উইকে অংশগ্রহণ করছেন। মেলায় বিভিন্ন দেশের তথ্য–প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের স্টল ও বুথের পাশাপাশি বাংলাদেশের ১৬ টি আইটি প্রতিষ্ঠান তাদের নানাবিধ তথ্য-প্রযুক্তি ও সেবা প্রদর্শন করছেন। এছাড়া বুথ ভিত্তিক আলোচনা ও সেমিনার করার ব্যবস্থা রয়েছে এবারের মেলায় ।
মেলার শুরুতে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বাংলাদেশ প্যাভিলিওন পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিষ্ঠান কর্ণধার ও তথ্য প্রযুক্তিবিদদের সাথে কথা বলেন। মেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান এবং দূতাবাস থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সবরকমের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
মেলা ঘুরে দেখা যায় বাংলাদেশ প্যাভিলিওনে প্রচুর দর্শক ও আগ্রহী ব্যবসায়িদের সমাগম হয়েছে, তারা কেউ বুথ  ভিত্তিক আলোচনা করছেন আবার অনেকে আইসিটি বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগ কর্তৃক প্রেজেন্টেশন মনোযোগ দিয়ে শুনছেন। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পক্রিয়ায় আইসিটি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। আর বিশ্বে ৩য় বৃহৎ – জাপান আইটি মেলা তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা, সম্ভাবনা ও যোগ্যতা প্রদর্শনের অপার সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আসা ব্যবসায়িগণ বলেন জাপানে দিন দিন তথ্য প্রযুক্তির বাজার বড় হচ্ছে এবং তাঁরা আশা প্রকাশ করেন যে এই মেলা বাংলাদেশের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন করবে।
মেলাটি জাপান-বাংলাদেশ আইটি সম্পর্ক গভীর করতে সহযোগিতা করার পাশাপাশি বাংলাদেশে জাপানি কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ, নতুন বাজার সৃষ্টি, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এমনকি প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে বিনিয়োগে উৎসাহ যোগাতে তাৎপর্যপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Advertisement