জাস্ট ইটে অর্ডার দিয়ে কি খাচ্ছেন!

পুরো ইউকেজুড়ে হাজার হাজার রেস্টরেন্ট ও টেইকওয়েকে সার্ভিস দিচ্ছে জাস্ট ইট। এর ব্যবসা বছরে প্রায় ৪ বিলিয়ন পাউন্ড। কিন্ত জাস্ট ইটের মাধ্যমে যেসব টেইকওয়ের খাদ্য অর্ডার করা হয় সেই সব টেইকওয়ের খাবারের মান নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠেছে। বিবিসির এক তদন্তে দেখা গেছে, যেসব টেইকওয়েকে জাস্ট ইটের ওয়েব সাইটে ফোর স্টার দেওয়া হয়েছে বাস্তবে সেইসব টেইকওয়েকে  জিরো রেইট দিয়েছে ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সি।
জাস্ট ইটের ওয়েব সাইটে ফোর স্টার দেওয়া ওয়েস্ট লন্ডনের ইলিংয়ে একটি টেইকওয়েতে পূর্ব নোটিশ ছাড়া অভিযান চালিয়ে কাউন্সিলের হেলথ অফিসাররা দেখেছেন,  কাস্টমারদের অর্ডার অনুযায়ী খাবার তৈরির জন্যে টেবিলে সাজিয়ে রাখা খাদ্য সামগ্রী একেবারেই খাবার অনুপযোগি। অফিসারদের নিদের্শে খাবারগুলো বিনে ফেলতে হয়েছে। টেকওয়ের মেঝেতে ঈদের বিষ্টা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
ইলিং কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, এই টেইকওয়েটি জিরো হাইজিন রেইটেড। আর জাস্ট ইটের তালিকায় এর রেইট হল ফোর স্টার।
শুধু এটাই নয়, পুরো ইউকেজুড়ে ফুড হাইজিনে জিরো রেইটেড টেইকওয়ে, যাদেরকে ফুড হাইজিনে আরো উন্নত করার জন্যে তাগিদ দিয়েছে ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সি, সেইসব টেকওয়ে  জাস্ট ইটের সঙ্গে আছে বিশাল কাস্টমার রিভিউ নিয়ে।
বিবিসির তদন্ত অনুযায়ী, বার্মিংহ্যামে জাস্ট ইটের সঙ্গে থাকা ৩১ টি টেইকওয়ের মধ্যে ২০টি পাওয়া গেছে জিরো রেইটেড। লিভারপুলে ১৩টির মধ্যে ৯টি জিরো রেইটেড অন্যদিকে ম্যানচেস্টার, ব্রিস্টল এবং লন্ডনে জাস্ট ইটের তালিকায় থাকা প্রায় অর্ধেক টেইকওয়েই জিরো রেটিং বলেও বিবিসির সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইদুরের অস্তিত্ব পাওয়ায় ইস্ট লন্ডনের একটি টেইকওয়েটি গত এপ্রিলে তিন সপ্তাহ বন্ধ ছিল। যদিও এর মালিক দাবী করছেন, সম্পূর্ন সংস্কার করে টেইকওয়েটি খোলা হয়েছে। অন্যদিকে ইয়র্কে তেলাপোকার কারণে গত জুনে একটি টেকওয়েটি বন্ধ করা হয়েছিল। নতুন ব্যবস্থাপনায় তাও আবার খোলা হয়েছে। সুইন্ডনের জিরা নামে একটি টেইকওয়েকে ৫ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছিল। আদালতে জাজ বলেছেন, এর খাবার খেয়ে যে কেউ মারা যেতে পারতো। এ তিনটি টেইকওয়েতে ফুড স্ট্যান্ডার এজেন্সি অফিসাররা যখন তদন্ত করেন তখন এগুলো জাস্ট ইটের তালিকায় ছিল। কন্সুমার রাইটস ক্যাম্পেইনাররা মনে করেন এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়া উচিত।
 এদিকে জাস্ট ইট বলেছে, ফুড সেইফটির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে থাকে তারা। তবে এই বিষয়ে জাস্ট ইটের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে জাস্ট ইটের সঙ্গে ব্যবসায় আসতে চাইলে যে কোনো রেষ্টুরেন্টকে খাবারের মান উন্নতির জন্যে ফ্রি ফুড হাইজিন ট্রেইনিংয়ের প্রস্তাব দিয়ে থাকে জাস্ট ইট। এছাড়াও ফুড সেইফটি ইস্যু দেখা দিলে জাস্ট ইটের নিজস্ব কমপ্লায়েন্স টিম লোকাল অথোরিটির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে রিভিউ এবং তদন্তে সহযোগিতা করে।
জাস্ট ইটের ওয়েব সাইটে টেইকওয়েগুলোর মূল হাইজিন রেইট প্রদর্শনের দাবী জানিয়েছে ক্যাম্পেইনাররা। জাস্ট ইট বলেছে, এই ইস্যুটি নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে খুব শিঘ্রই টেস্ট হিসেবে শুরু করবে জাস্ট ইট।
Advertisement