জেল হত্যা দিবসে জাতীয় চার নেতা স্মরণে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা

লন্ডন ৩ নভেম্বরঃ ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর তাঁর ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারে হত্যা করা হয়।
রাষ্ট্রের হেফাজতে হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনাটি বাংলাদেশে পালিত হয়ে আসছে ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে।

দিবসটি উপলক্ষে শনিবার বিকাল ৩টায় পূর্ব লন্ডনের একটি কমিউনিটি হলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক এর পরিচালনায় অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ।
তিনি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “১৫ অগাস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা। ইতিহাসের মানবতাবিরোধী খলনায়করাই এ ধরনের ঘৃণ্য ও জঘন্য হত্যকাণ্ড চালিয়েছে।”
ইতিহাসের সেই ‘মানবতাবিরোধী খলনায়করা’ এখনও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে মন্তব্য করে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান শরীফ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এ ধরনের বর্বর হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।
“ষড়যন্ত্রকারীরা এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলার মাটি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশুন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।”

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতকারী সেনাসমর্থিত চক্রান্তকারীরাই কারাগারে চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করেছিল। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ইতিহাসে বিরল।
তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তার ঘনিষ্ঠ চার নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তী অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্যু-পাল্টা ক্যু’র ধূম্রজালের মধ্যে ৩ নভেম্বর সংঘটিত হয় জেল হত্যাকাণ্ড।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সামসুদ্দিন মাস্টার, সিতাব চৌধুরী,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, প্রবাস কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আনছারুল হক, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু, কৃষি সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান, মানবাধিকার সম্পাদক এম এ সারব, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের নিগার চৌধুরী, ধর্ম সম্পাদক সৈয়দ ছুরুক আলী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আ স ম মিসবাহ , আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাওসার চৌধুরী, লন্ডন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুর রহমান মোজাহিদ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক জামাল খাঁন, জুবায়ের আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমদ আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সায়াদ আহমদ ছাদ, শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক এম ইকবাল হোসেন, প্রজন্ম একাত্তরের আহবায়ক বাবুল হোসেন, ওলামালীগের আহবায়ক মাওলানা কুতুব উদ্দিন, লন্ডন আওয়ামীলীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক আমিনুল হক জিলু, ইস্ট লন্ডন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক, লন্ডন যুবলীগের সভাপতি তারেক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ফয়সল হোসেন সুমন, যুব শ্রমিকলীগের সভাপতি সৈয়দ বেলাল আহমদ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কাজী সাফায়াত হোসেন, জামান আহমদ,ফারুক মিয়া, শ্রমিকলীগের নেতা সাফিক মিয়া, রতন মোল্লা প্রমূখ ।

Advertisement