টাওয়ার হ্যামলেটস’ ব্রেক্সিট কমিশনের উদ্যোগে বাংলাদেশীসহ বারার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের সাথে বৈঠক

বাংলাদেশী ব্যবসায়ী নেতারা সতর্ক করেছেন যে, ব্রেক্সিটের অনিশ্চয়তা এরি মধ্যে টাওয়ার হ্যামলেটসের ব্যবসা বাণিজ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে।

১৯ ডিসেম্বর বুধবার ব্রিক লেনের পাশে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের অফিসে টাওয়ার হ্যামলেটস’ ব্রেক্সিট কমিশনের উদ্যোগে বাংলাদেশীসহ বারার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের সাথে এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রেক্সিট নিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে এই রাউন্ডটেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের চেয়ার এবং টাওয়ার হ্যামলেটস’ কাউন্সিলের সংস্কৃতি ও ব্রেক্সিট বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার  কাউন্সিলর আমিনা আলী।

আলোচনায় ক্যাটারিং ইন্ডাস্ট্রি, কন্সট্রাকশন, প্রোপার্টি, টেলিকমিউনিকেশনস’ ও মিডিয়া সেক্টরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং ইউরোপ থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে আসলে স্থানীয় ব্যবসা বাণিজ্যসহ সাধারণ মানুষের ওপর যে সকল প্রভাব পড়তে পারে, সেগুলো নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

ব্রেক্সিটের প্রভাব মোকাবেলায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাউন্সিলের সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা তারা প্রত্যাশা করেন।

আলোচনায় অংশ নেন ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মুকিম আহমদ, ব্রিক লেনের বিশিষ্ট রেস্টুরেটার্স আজমল হোসেইন, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ নাহাস পাশা, সাপ্তাহিক জনমত সম্পাদক নবাব উদ্দিন, এভাররেড কন্সট্রাকশন কোম্পানীর চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রোপার্টি ডেভেলপার কাজী আরিফ, ফিন্যান্সিয়াল এডভাইজার বাবুল হক, ফেইথ প্রিন্টার্সের সত্বাধিকারী মুসলেহ উদ্দিন আহমদ, ইউনিসফট সল্যূশনস এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমদাদুল হক টিপু প্রমুখ।

কাউন্সিলর আমিনা আলী বলেন, ব্রেক্সিট কমিশন বারার ব্যবসায়িদের সাথে ব্রেক্সিটের প্রভাব কেমন হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করছে। এই আমাদের কমিউনিটি ও স্থানীয় অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাংলাদেশী ব্যবসায়িদের অভিমত জানাটা আমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সারা দেশের অসংখ্য টাউন ও সিটির মেরুদন্ড হচ্চেছ সংখ্যালঘু ব্যবসায়ি কমিউনিটি, কিন্তু জাতীয় পর্যায়ের কোন বিতর্কে সাধারণত তাদের বক্তব্য উঠে আসেনা। কাউন্সিলর আমিনা বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটসের কমিউনিটির প্রতিটি অংশের মতামতকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়ার ব্যাপারে কাউন্সিল বদ্ধপরিকর। আমাদের এই রাউন্ডটেবল আলোচনায় অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যূ উঠে এসেছে এবং আমি আশা করি ভবিষ্যতে ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণে সকলের অভিমত সাহায্য করবে। আলোচনায় পাউন্ডের দর পতনের কারণে আমদানীকৃত পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া, আবাসিক বাড়ি ঘরের ভাড়ার হার কমে যাওয়া, বাণিজ্যিক ভাড়ার উর্ধগতি, কন্সট্রাকশন ও ক্যাটারিং শিল্পে দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি ইত্যাদি ইস্যূর পাশাপাশি ব্রিক লেন ও টাওয়ার হ্যামলেটসের অর্থনীতির ভবিষ্যত ইত্যাদি ইস্যূও উঠে আসে। সবার মতামতের আলোকে কমিশন একটি প্রস্তাবণা তৈরী করবে এবং আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে তা প্রকাশ করা হবে।

কাউন্সিল আলী বলেন, আমরা শুধু ব্রেক্সিটের ঝুঁিকগুলোর দিকে নজর দিচ্চিছনা, আমরা যে সুযোগগুলো আসবে, তার পরিপূর্ণ সুফল নিশ্চিত করতে চাই। তিনি অংশ গ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

মেয়র জন বিগস এ প্রসঙ্গে বলেন, বারার কোন অংশ ব্রেক্সিটের প্রভাব অনুভব না করে, তাহলে আমি অবাকই হবো। অনেক অনেক সেক্টর ইতিমধ্যেই চাপের মুখোমুখি হয়েছে।

তিনি বলেন, কমিউনিটির ছোট আকারের ব্যবসাগুলোকে আমরা এই নিশ্চয়তা দিতে চাই যে, তাদেরকে আশ্বস্ত করতে ব্রেক্সিট কমিশন কর্তৃক চি?িত ঝুকিঁসমূহ কিভাবে মোকাবেলা করা দরকার সেসম্পর্কে কাউন্সিল পরামর্শ প্রদান করবে।

Advertisement