টিকা নেয়া ভ্রমণকারীদের বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা বাতিল করছে বৃটেন

ইংল্যান্ডগামী টিকা নেয়া ভ্রমণকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা বাতিল করছে বৃটিশ সরকার। সোমবার এ ঘোষণা দিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বকে দেখানো হবে যে, ব্যবসা এবং ভ্রমণের ক্ষেত্রে তারা উন্মুক্ত। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ওয়াশিংটন এক্সামিনার। বর্তমান নিয়মে দুই ডোজ টিকা নেয়া যেসব ভ্রমণকারী বৃটেন সফরে যাচ্ছেন, তাদেরকে সেখানে পৌঁছার দুই দিনের মধ্যে র‌্যাপিড কোডিভ-১৯ টেস্ট করার কথা বলা হয়েছে।

ইংল্যান্ড সফরে যাবেন যারা, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, তারা এই বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি পাবেন এবং তার এই সিদ্ধান্ত ১১ই ফেব্রুয়ারি কর্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ সময়ে ইংলিশ স্কুলগুলোর বেশির ভাগেই মধ্য মেয়াদে বসন্তকালীন ছুটি থাকবে। এসব তথ্য দিয়েছেন পরিবহন বিষয়ক মন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস।তিনি এপিকে বলেছেন, আমরা বৃটেনকে মুক্ত ঘোষণা করতে যাচ্ছি।আবার যেসব ব্যক্তি টিকা নেননি এমন ভ্রমণকারীদের জন্য যে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের নিয়ম প্রচলিত আছে, তাও শিথিল করছে ইংল্যান্ড। এমন ভ্রমণকারীদের ইংল্যান্ড সফরের আগে এবং পরে শুধু পরীক্ষা করাতে হবে। এ সপ্তাহের শেষের দিকে মুখে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতাও শিথিল করতে যাচ্ছে বৃটেন। একই সঙ্গে করোনা মহামারি বিষয়ক অন্য বিধিনিষেধও শিথিল করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ব্যাপকভিত্তিক পরীক্ষার ওপর নির্ভর করা হবে। ভাইরাসের বিষয়ে মনিটরিং করা হবে টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে।
ডিসেম্বরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে বৃটেনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। এর প্রেক্ষিতে সেখানে নতুন করে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। তবে এবার হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু অন্য সময়ের চেয়ে অনেক কম। কোভিড-১৯ এ ইউরোপের মধ্যে ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ মারা গেছেন। এ সংখ্যা এক লাখ ৫৪ হাজার। ইউরোপে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন রাশিয়ায়।

Advertisement