ট্রাম্পের ব্যাপারে টুইটার কেন হার্ডলাইনে

ব্রিট বাংলা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে টুইটার থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়েই। টুইটার বলেছিল, “ভবিষ্যতে সহিংসতা উস্কে দেবার ঝুঁকি” থাকার কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

কারণ ৬ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত (বর্তমান প্রেসিডেন্ট) জো বাইডেনের জয় অনুমোদনের দিনে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকরা হামলা চালালে বিক্ষুব্ধদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প টুইটে লিখেছিলেন ‘আমি তোমাদের ভালোবাসি’। তাদের ‘দেশপ্রেমিক’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন। এরপর ১২ ঘণ্টার জন্য ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে ব্লক করা হয়েছিল এবং আবারও নীতিমালা ভাঙলে তার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সতর্কও করা হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় তখন তাকে টুইটারে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়।

এবার আরও কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে টুইটার। সংস্থাটির ঘোষণা- আর কোনদিনই টুইটারে অ্যাকাউন্ট খুলতে দেওয়া হবে না ট্রাম্পকে। এমনকি, তিনি আবার যদি কখনো প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেন তাও এই সিদ্ধান্ত বদল হবে না। স্থানীয় সময় বুধবার এ কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সংস্থাটির চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) নেড সেগল।

যুক্তরাষ্ট্রের সিএনবিসি চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সেগল বলেন, “আমাদের নীতি হলো- আপনি রাজনীতিবিদ, কোন সংস্থার কর্ণধার বা পদস্থ সরকারি আমলা যেই হোন না কেন, একবার আপনার অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দেওয়া হলে সেটা পাকাপাকি বন্ধ হয়ে থাকে।’’

অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার সময় টুইটারে ট্রাম্পের ছিল প্রায় ৯ কোটি ফলোয়ার।
কিন্তু ৬ জানুয়ারির পর সে সবের দিকে না তাকিয়ে তার অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে টুইটার সিএফও বলেন, ‘‘আমাদের নীতি সে ভাবেই তৈরি করা হয়েছে, যাতে কেউ দাঙ্গা বা সহিংসতায় প্ররোচনা না দিতে পারেন। আর এক বার যদি এই অভিযোগে কারও অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়, তা হলে তিনি আর ফিরে আসতে পারবেন না।’’

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প টুইটারের মাধ্যমে নিজ প্রতিপক্ষদের অপমান করতেন, বন্ধুদের উৎসাহিত করতেন, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতি করতেন এবং তার ক্ষোভ প্রকাশ করতেন। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, তার সেসব পোষ্ট ছিল ভুল তথ্যে ভরপুর। তা সত্ত্বেও এই মাধ্যম ব্যবহার করে তিনি মূলধারার সংবাদমাধ্যমকে পাশ কাটিয়ে মুহূর্তের মধ্যে তার ৯ কোটি অনুসারীর সাথে যোগাযোগ করতে পারতেন।

Advertisement