ডা. এস এ মালেক ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ব্যক্তিত্ব : অধ্যাপক আরেফিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ডা. এস এ মালেক ছিলেন একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ব্যক্তিত্ব।তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও কলামিস্ট ড. মালেক চার দশক ধরে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃত্ব দিয়ে সংগঠনটিকে দেশে-বিদেশে জনপ্রিয় করে তোলেন।আজ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সংসদ সদস্য ড. এস এ মালেকের স্মরণ সভায় সভাপতিত্বকালে অধ্যাপক আরেফিন এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি স্মরণ সভায় ভাষণ দেন।অধ্যাপক আরেফিন বলেন, ডাক্তার এস এ মালেকের মৃত্যুতে দেশ শুধু একজন প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবীকেই হারালো না, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একজন বীর যোদ্ধাকেও হারালো।অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অজিত কুমার সরকার ‘ডা. এস এ মালেক: কারেজ পারসোনিফাইড অ্যান্ড শেপড বাই বঙ্গবন্ধু’স আইডিয়ালস’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ বি এম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক মো. আব্দুল খালেক, ঢাবি ভিসি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক হাসান কামরুজ্জামান, ডা. এস এ মালেকের ছেলে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু, ডা. লিয়াকত হোসেন মোড়ল ও অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অজিত কুমার সরকার তার মূল বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ডা. মালেকের রাজনীতি ও কাজের অনুপ্রেরণার অন্তহীন উৎস।তিনি আরো বলেন, ডা. এসএ মালেক বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা শুনেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন।তিনি বলেন, ডাক্তার মালেক তার লেখার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মানবিক মূল্যবোধ, সাহসিকতা, ত্যাগ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা তুলে ধরেছেন।অজিত সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ডা. মালেক সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।সভার শুরুতে ও ডা. মালেকের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

Advertisement