তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী বৈষম্য দূর করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ব্রিট বাংলা ডেস্ক : জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষ্যে নিউইয়র্ক সময় বুধবার একটি উচ্চতর সাইড ইভেন্টে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘ডিজিটাল সহযোগিতা: ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য উদ্যোগ এখনি’- এ বিষয়ক বৈঠকে সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতারেস।

এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর, এলমান পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস সেন্টারের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ইলওয়াড এলমান এবং কো চেয়ার অব সেক্রেটারি জেনারেল হাই লেভেল জ্যাক মা। সাধারণ আলোচনায় নরওয়ে ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ বক্তারা কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভার্চুয়াল বক্তব্যে বলেন, কভিড-১৯ মহামারির কারণে গোটা বিশ্বে ডিজিটাল সেবাগুলোর প্রকাশ ঘটেছে। একই সাথে এক্ষেত্রে যে বিভাজন রয়েছে, সেই বিষয়টিকেও উন্মোচিত করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর অর্ধেক জনগোষ্ঠীর এমনকি বেসিক ইন্টারনেট ব্যবহারেরও কোনো সুযোগ নেই। এই বৈষম্য দূর করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় আরো বলেন, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে ইন্টারনেট সেবার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।

তিনি উল্লেখ করেন, দেশে এখন মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৩.৪৮ মিলিয়নে। যার কারণে দেশের অসংখ্য মানুষের জীবন বদলে গেছে। সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছেন অনেকে।

শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক বিকাশ সহজ করা, নারীর ক্ষমতায়নসহ সামাজিক নানা পরিবর্তনে সহায়তা করছে ডিজিটাল সংযোগ। সেই সাথে কভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই, এসডিজি বাস্তবায়নের মতো বিষয়কেও সহজ করে দিচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্যে তরুণ প্রজন্মকে কেন্দ্রবিন্দুতে রাখার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আর তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে উদীয়মান চাকরির বাজার বিবেচনা করে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল একাডেমি প্রতিষ্ঠার কথা বলেন শেখ হাসিনা। আর অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের প্রত্যাশার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

Advertisement