তামিম আর জাতীয় দলে টি-টোয়েন্টি খেলবেন না, জানিয়ে দিলেন পাপন

দল জয়ের দেখা না পেলেও বিপিএলে দারুণ ফর্মে আছেন তামিম ইকবাল। টানা দুই ম্যাচে অর্ধশতক হাকিয়েছেন দেশসেরা এই ওপেনার। এমন ফর্মের ভক্তদের হয়তো আক্ষেপই জাগছে, এই তামিমকে যদি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপেও পেত বাংলাদেশ!চোটকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তামিম। এছাড়া নিজের সরে যাওয়ার কারণ হিসেবে তরুণদের সুযোগ করে দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর তামিমকে টি-টুয়েন্টি দলে ফেরানো নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। একাংশের দাবি ছিল, টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে আর খেলতে চান না তামিম।এবার একই দাবি করলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবি বসের দাবি, টি-টুয়েন্টি দলে আর ফিরতে চান না তামিম।এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘ওর সাথে আমি কথা বলেছি। বলতে গেলে… ওকে বলেছিলামও, তুমি আবার টি-টুয়েন্টিতে ফিরে আসো। এটা ছাড়বে কেন? তুমি আমাদের সেরা ওপেনার। অবশ্যই তোমার থাকা উচিৎ। টেলিফোনে কথা হয়েছিল। ও আমাকে একটা কথা বলেছে- আপনি আমাকে জোর করবেন না। আপনি বললে তো আমাকে আসতেই হবে। কিন্তু আমি আসলে এই ফরম্যাটে খেলতে চাই না।তাই তামিমকে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে দলে ফেরার জন্য আর জোর করতে চান না বিসিবি সভাপতি। পাপনের ভাষ্যয়, ‘এটা বলার পর আমার মনে হয়েছে ওকে আর কিছু বলা উচিৎ না। কেউ যদি খেলতেই না চায়, তাকে জোর করে একটা ফরম্যাটে খেলানো ঠিক না।’

সবশেষ বিপিএলে তামিমের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন পাপন। তবে অর্ধশতকের পর ইনিংসগুলো আরও বড় হচ্ছে না বলে রয়েছে কিছু আক্ষেপ।তিনি বলেন, ‘তামিম ভালো খেলেছে। ও তো সবসময়ই ভালো খেলে। ইনিংস আরও বড় করা উচিৎ। ফিফটি হয়ে গেলেই মারমুখো হতে যাচ্ছে আউট হয়ে যাচ্ছে। ইনিংস আরও বড় করা উচিৎ, কারণ ও সত্যিই অনেক ভালো খেলছে।প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফর থেকে চোট নিয়ে ফেরেন তামিম। চোটের কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজে খেলা হয়নি তার। এরপর একই কারণে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও ছিলেন না তিনি। পরে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ঘরের মাঠে শেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও ছিলেন না।২০২০ সালের মার্চে ঘরের মাঠে সবশেষ টি-টুয়েন্টিতে মাঠে নেমেছিলেন তামিম। আর দেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৭৮ টি টি-টুয়েন্টি খেলেছেন তিনি। এই ম্যাচগুলোতে ব্যাট হাতে ২৪.০৮ গড়ে ১৭৫৮ রান করেছেন তিনি। যার মধ্যে একটি সেঞ্চুরি ও সাতটি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে।

Advertisement