তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: হঠাৎ করেই উজানের ঢল নেমেছে তিস্তা নদীতে। বুধবার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি পালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টায় পানি ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৫২.৭০ (বিপদসীমা ৫২.৬০) ওপর দিয়ে হতে দেখা যায়। হু হু করে পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তা অববাহিকার বসতবাড়ি ও আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। ফলে পরিবারগুলো বসতঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়শিঙ্গেশ্বর, টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দোলাপাড়া, তিস্তা বাজার, চরখড়িবাড়ি, পূর্বখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী ইউনিয়নের বানপাড়া ছোটখাতা, বাইশপুকুর ও ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের সোনাখুলী, ফরেস্টের চর গ্রামগুলোর বসতঘরে নদীর পানি প্রবেশ করেছে।

বসতঘরগুলো হাঁটুসমান পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অনেকে তিস্তা নদীর ডানতীর বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। তিস্তার হঠাৎ ঢলে বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে এলাকায় ১০ হাজার পরিবার।

পুর্বছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান জানান, ঝাড়শিঙ্গেশ্বর গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবারের বসতঘরে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক বলেন, তার এলাকার দোলাপাড়া, তিস্তাবাজার, চরখড়িবাড়ি, পূর্বখড়িবাড়ি গ্রামগুলোর বাড়িঘর হাঁটুসমান পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার বলেন, ছোটখাতা ও বানপাড়া গ্রামের মানুষজন ডানতীর বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ছাতুনামা ও ফরেস্টের চর এলাকায় ৫ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করে। বন্যার কবলে নিচু এলাকার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, উজানে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তা নদীতে পানি হু হু করে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

গত সোমবার তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ডালিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৫২ দশমিক ৫০ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

রাত ৯টায় তা বিপদসীমা অতিক্রম করে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক উপসহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উজানের ঢল সামাল দিতে খুলে রাখা হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট। এলাকা থেকে পরিবারগুলোকে উঁচু স্থান ও আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।

Advertisement