দেশে সিনোভ্যাকের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন

দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী চীনের টিকা সিনোভ্যাকের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। দেশে অনুমোদিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী পঞ্চম টিকা এটি। বাংলাদেশে এ টিকার লোকাল অ্যাজেন্ট হিসেবে কাজ করবে ইনসেপটা ভ্যাকসিন লিমিটেড। চীনের সিনোভ্যাকের এ টিকার ট্রেড নাম করোনাভ্যাক।রোববার (৬ জুন) ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইনসেপটা ভ্যাকসিন লিমিটেড ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কাছে আবেদন করে। তার প্রেক্ষিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ভ্যাকসিনটির ডোসিয়ার (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পার্ট, সিএমসি পার্ট এবং রেগুলিটরি স্ট্যাটাস) মূল্যায়ন করে।পরে এ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর গত ৩ জুন চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানির করোনাভ্যাক টিকাকে দেশে ইমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশন বা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। বাংলাদেশে এর লোকাল অ্যাজেস্ট হবে ইনসেপটা ভ্যাকসিন লিমিটেড।চীনের ন্যাশনাল মেডিক্যাল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ টিকাকে অনুমোদন দেয় এবং বিশ্বের আরও ২২টি দেশে এ টিকার অনুমোদন রয়েছে। এ টিকা ১৮ বছরের ওপরে বয়সীদের জন্য ব্যবহার করা হবে। দুই ডোজের এ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দুই বা চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে এবং এটি দুই থেকে আট ডিগ্রি সিলেসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা হিসেবে সিনোভ্যাকের এ টিকা পঞ্চম টিকা হিসেবে অনুমোদন পেলো। এর আগে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর দেশে চারটি টিকার জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়। দেশে প্রথম গত ৭ জানুয়ারি অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড, গত ২৪ এপ্রিল রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি, গত ২৯ এপ্রিল চীনের সিনোফার্মের টিকা এবং গত ২৭ মে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয় সরকার।

Advertisement