ধর্ষণে আইন চুপ কেন? ক্ষিপ্ত প্রিয়াঙ্কা

ব্রিট বাংলা ডেস্ক : ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাথরসে দলিত তরুণীকে নৃশংস ধর্ষণের ঘটনা বর্বরতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সারা দেশ এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে। তবে শুধু ধর্ষকরাই নয়, পুলিশও এই মামলায় সমালোচনার মুখে। গণধর্ষণের পর তরুণীর ওপর পাশবিক অত্যাচার চালায় ধর্ষকরা। হাসপাতালে ১৫ দিন লড়াই করে মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের অনুমতি ছাড়াই পুলিশ তাঁর লাশ পর্যন্ত দাহ করে দেয়। অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবার এ ঘটনায় সরব হলেন। প্রিয়াঙ্কার দাবি, চিৎকার শুনেও আইন মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে।

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে প্রিয়ঙ্কা লেখেন, “অসম্মান, অবমাননা, হেনস্তা, নৈরাশ্য, দুঃখ, অসহায়ত্ব- এই আবেগগুলোই মাথায় ঘুরছে। ওদের সঙ্গে যা হলো, তা অমানবিক এবং বর্বরতার সীমা ছাড়াল। কেন? বারবার। সব সময় মহিলা, বাচ্চা মেয়েরা অনবরত ধর্ষণের শিকার হয়ে চলেছে। আমরা কাঁদি। ওরা কাঁদে। কিন্তু তা-ও কেউ কান্নার শব্দ শুনতে পায় না। এত ঘৃণা কেন? আইন কি এত কান্নার চিৎকার শুনেও মুখ বন্ধ করে রয়েছে? আর কতজন নির্ভয়াকে এমনটা সহ্য করতে হবে? আর কত বছর ধরে?

প্রিয়াঙ্কার এই পোস্ট মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। জাতিসঙ্ঘের চিলড্রেন ফান্ডের সঙ্গে বহু বছর ধরে কাজ করছেন প্রিয়াঙ্কা। ২০১৬-তে তিনি গ্লোবাল ইউনিসেফ গুডউইল অ্যাম্বাসাডর হন। তাই এর আগেও নারী অধিকার ও অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মহিলা উদ্যোগপতিদের উৎসাহ জাগিয়েছেন।

প্রসংগত, ১৪ সেপ্টেম্বর ওই দলিত তরুণী মায়ের সঙ্গে মাঠে গিয়েছিলেন। তখনই তাঁকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়। এরপর তাকে শ্বাস রোধে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, নৃশংসতার মাত্রা এমন জায়গায় পৌঁছে যে তরুণীর জিব কেটে দেওয়া হয়। আঘাত এত গভীর ছিল যে তাঁর হাত এবং পা পর্যন্ত অসাড় ছিল।

ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে তাঁকে জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সোমবার অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে দিল্লির সফদর জং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, তিনি রীতিমতো মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন। অসুস্থ অবস্থায়ও ধর্ষকদের নাম জানিয়ে গেছেন তরুণী।

Advertisement