নতুন মোড়কে পুরোনো গল্প, ১২৪ রানে থামলো বাংলাদেশ

নতুন দিন, নতুন ম্যাচ, নতুন করে সূচনা হলেও বদলায় না বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের বেহাল দশা। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে শুরু করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখা গেছে, তা চলমান আছে পাকিস্তান সিরিজেও। টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়ানো বাংলাদেশ তৃতীয় ম্যাচেও যথারীতি ব্যাটিং বিপর্যয়ে।মিরপুরে প্রথম দুই ম্যাচের মতো আজও টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। প্রথম ম্যাচে পাওয়ার প্লে-র ছয় ওভারে স্কোর ছিল ২৫ রানে ৩ উইকেট, দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৬ রানে ২ উইকেট। সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার সিরিজের শেষ ম্যাচেও প্রথম ছয় ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৩ রান।

দ্বিতীয় ম্যাচের তুলনায় এদিন ৩টি রান কম হলেও উইকেটও একটি কম হারায় বাংলাদেশ। তবে মোট রান তোলার ক্ষেত্রে ঠিকই ব্যর্থ দল। প্রথম ম্যাচে ১২৭ করতে পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে স্কোরে জমা হয় মাত্র ১০৮ রান। যার ফলে প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে রিয়াদের দল হেরে যায় ৪ উইকেটে।সেই ধারাবাহিকতায় আজ তৃতীয় ম্যাচেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। এই পুঁজি দিয়ে কি হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারবে রিয়াদ বাহিনী?এদিন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রান আসে ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাট থেকে। ফিফটি করার সুযোগ থাকলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ৫০টি বল খেলা নাঈম। দুটি করে চার-ছক্কার মার ছিল তাঁর এই অ্যাঙ্করিং ইনিংসে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে ওয়ান ডাউনে নামা শামীম হোসাইনের ব্যাট থেকে। ২৩ বলে ২২ রান করে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি চারের মার। আরেক বাঁহাতি আফিফ হোসাইনের ব্যাট থেকে আসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান। তাঁর ২১ বলের ইনিংসে ছিল ২টি ছক্কার মার। আর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আউট হন ১৪ বলে ১৩ রান করে।

অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হলেও প্রত্যেকেই রানের থেকে বেশি বল খেলেছেন। যাতে দলীয় স্কোরে জমা হয়নি প্রয়োজনীয় রানও। তাহলে বোলাররাই বা লড়াইটা করবে কি দিয়ে?এদিন দলের মূল বোলারদের বসিয়ে রেখে সাইড বেঞ্চকে বাজিয়ে দেখা পাকিস্তান তবুও সফল। কেননা, নিয়মিত সুযোগ না পেলেও উসমান কাদির, মোহাম্মদ ওয়াসিম, হারিস রউফরা দেখিয়েছেন তাঁদের কারিশমা। একটি রান আউট হলেও বাকি ছয়টি উইকেটের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন উসমান কাদির ও মোহাম্মদ ওয়াসিম। বাকি দুটি ভাগ করে নেন হারিস রউফ ও শাহনেওয়াজ দাহানি।

বাংলাদেশের একাদশ: নাঈম শেখ, নাজমুল হোসাইন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসাইন ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), শামীম হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শহিদুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, ও তাসকিন আহমেদ।

পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), সরফরাজ আহমেদ (উইকেটরক্ষক), ইফতিখার আহমেদ, শাহনেওয়াজ দাহানি, উসমান কাদির, হায়দার আলি, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, হাসান আলি, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, হারিস রউফ।

Advertisement