নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আইডার প্রভাবে ভারি বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যার কারণে কর্তৃপক্ষ জরুরি অবস্থা জারি করেছে।মেয়র বিল ডে ব্লাসিও বলেছেন, শহরের মানুষ ঐতিহাসিক আবহাওয়া পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। ভয়াবহ বন্যা এবং রাস্তাঘাটে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সাবওয়ে স্টেশন, লোকজনের বাড়ি-ঘরে বন্যার পানি ঢুকে গেছে এবং রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। নিউ জার্সিতেও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ওই অঙ্গরাজ্যে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।নিউ জার্সির মেয়র জানিয়েছেন, ওই অঙ্গরাজ্যের প্যাসেইক শহরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই একই অঙ্গরাজ্যের মুলিকা হিলে টর্নেডোর আঘাতে কমপক্ষে নয়টি বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।এদিকে নিউ জার্সির কিয়ার্নিতে একটি ভবনের ছাড় ধসে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সে সময় সেখানে বেশ কয়েকজন ছিল। উদ্ধারকারী কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। তবে এটা এখনও পরিষ্কার নয় যে, কেউ হতাহত হয়েছে কীনা।

ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কে এক ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বা ৩ দশমিক ১৫ ইঞ্চি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। লোকজনকে রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ। দমকল বিভাগ জানিয়েছে, পুরো শহর থেকেই তাদের কাছে সাহায্য চেয়ে ফোনকল আসছে।নিউইয়র্ক এবং নিউ জার্সিতে অধিকাংশ সাবওয়ে এখন বন্ধ রয়েছে এবং অনেক স্থানে রেল সেবা এবং বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে ২৪০ কিলোমিটার বা ১৫০ মাইল বেগে আঘাত হানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আইডা। তারপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলা হয়।মেক্সিকো উপসাগর থেকে শক্তি সঞ্চয় করে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানে আইডা। স্থানীয় সময় রোববার ক্যাটাগরি-৪ হারিকেন হিসেবে এটি নিউ অরলিন্সে আঘাত হানে। কোথাও কোথাও ঝড়ের কারণে সমুদ্রের পানি ১৬ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় উঠেছে। এর কারণে উপকূলের নিম্নভূমি প্লাবিত হয়েছে। এর আগে ২০০৫ সালে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ক্যাটরিনার আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রে এক হাজার ৮শ মানুষের মৃত্যু হয়।

Advertisement