নিউ ইয়র্কের টাইম স্কয়ার বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শভিত্তিক প্রদর্শনী

বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী রোববার (১৫ আগস্ট)। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে টাইম স্কয়ারে বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখতে পাবেন বিদেশিরা। প্রথমবারের মতো এই আয়োজন করা হয়েছে।সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর দুর্লভ কিছু ছবি প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওইদিন মধ্যরাত ১২টা ১ মিনিট হতে পরের দিন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ২ মিনিটে ১৫ সেকেন্ড করে বঙ্গবন্ধু’র ছবি প্রদর্শন করা হবে। এর মোট ব্যাপ্তিকাল হবে ৩ ঘণ্টা এবং প্রদর্শিত হবে মোট ৭২০ বার।

এই প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা নিউ ইয়র্কের ‘এনওয়াই ড্রিমস প্রোডাকশন’। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ফাহিম ফিরোজ মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে তার এ উদ্যোগের কথা জানান।ফাহিম ফিরোজ জানান, ঐতিহাসিক টাইমস স্কয়ারের বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধু’র ছবি প্রদর্শনের উদ্যোগ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং এই উদ্যোগের সাথে কোন রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে চলেছি এবং এই উদ্যোগ সফল করতে এবং ভালো করতে প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাড়াও তাঁর কিছু কিছু কথা বাংলা ও ইংরেজিতে প্রচার বা ভাষণ প্রচার করা যায় কিনা তা নিয়েও ভাবা হচ্ছে। তিনি তার উদ্যোগটি সফল করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সকল মহলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।তিনি বলেন, প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাড়াও ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের অংশ বিশেষসহ স্মরণীয় কিছু ছবি ও ক্যাপশন প্রাধান্য পাবে। যা বিলবোর্ড কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করেছে।এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের টাইম স্কয়ারে বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শভিত্তিক ছবি প্রদর্শনীর উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম সহিদুল ইসলাম।

অভিনন্দন বার্তায় রাষ্ট্রদূত বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠান প্রবাসী বাংলাদেশিদের, বিশেষ করে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি আমেরিকানদের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ তুলে ধরতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।এই বিশাল প্রজেক্ট ফাহিম ফিরোজ তার নিজস্ব অর্থায়নে শুরু করলেও পরে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এই খরচ মেটাতে এগিয়ে এসেছেন।এনওয়াই ড্রিমসের প্রধান নির্বাহী ফাহিম ফিরোজ অনুষ্ঠানটিতে প্রদর্শিতব্য কন্টেন্ট চূড়ান্ত করতে এবং অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদানের জন্য দূতাবাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটিকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামান্য ঐতিহ্য হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায়ের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূত এম সহিদুল ইসলামের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। টাইম স্কয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।

Advertisement