নির্বাচনে ব্যর্থতার প্রতিক্রিয়া : এবার লেবারের শেডো চ্যান্সেলার বরখাস্ত

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ইংল্যান্ডের স্থানীয় নির্বাচনে ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁদে না নিয়ে একের পর এক কেবিনেট সদস্যদের উপর বর্তাচ্ছেন লেবার পার্টির লিডার স্যার কিয়ার স্টারমার। গত ৬ই মে ভোট গ্রহণের পর ৮ই মে থেকে ফলাফল প্রকাশিত হতে থাকে। একই দিন অনুষ্ঠিত হার্টলিপুল সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ১৯৭৪ সালের পর এই প্রথম পরাজয় বরণ করে লেবার পার্টি। এই ফলাফল প্রকাশের পরপরই দলের প্রধান ক্যাম্পেইনারের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি লিডার এন্জেলা রেইনারকের দলের চেয়ারের পদ থেকে বরখাস্ত করেন তিনি। তখনি শেডো কেবিনেট সংস্কারের ঘোষণাও দিয়েছিলেন। তবে নির্বাচনে ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁদে না নিয়ে অধিনস্থদের বরখাস্তের কারণে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন স্টারমার। এই সমালোচনার মুখেই রোববার বিকেলে শেডো চ্যান্সেলারের পদ থেকে ইনালেইস ডডসকে বরখাস্ত করেন তিনি। তবে তাকে দলের চেয়ার পদে বসাতে পারেন স্যার কিয়ার স্টারমার। নতুন শেডো চ্যান্সেলার হিসেবে দায়িত্বে আসবেন রেচাল রিভস। ডেপুটি লিডার এন্জেলা রেইনারের পুরনো কিছু দায়িত্ব পাচ্ছে শাবানা মাহমুদ। এন্জেলাকে পরবর্তীতে অন্য দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। প্রধান ক্যাম্পেইনার এবং চেয়ার পদ থেকে বরখাস্ত হলেও ডেপুটি লিডার পদে বহাল আছেন এন্জেলা রেইনার। ডেপুটি লিডার দলীয় সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত পদ। এই পদ থেকে তাকে কেউ বরখাস্ত করতে পারবে না।

উল্লেখ্য ৬ মে ইংল্যান্ডের ১৩৪টি কাউন্সিলে নির্বাচন হয়। সেখানে  ১ হাজার ৩ শ ৪৫টি আসনে লেবার কাউন্সিলর জয় লাভ করে। আর কনজারভেটিভের কাউন্সিলর জয় লাভ করে ২ হাজার ৩শ ৪৫টি আসনে। কাউন্সিল এবং হার্টলিপুল সংসদীয় আসনে খারাপ ফলাফল করলেও লন্ডন, লিভারপুল, গ্রেটার ম্যানচেস্টার, ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার এবং ওয়েস্ট ইংল্যান্ডের মেয়র নির্বাচনে ভালো করে লেবার পার্টি।

 

Advertisement