নেপালের বুকে এক খন্ড বাংলাদেশ

সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালকে ঘিরে আজ সকাল থেকেই রাজধানী কাঠমান্ডুর থামেলের বাংলাদেশী অধ্যুষিত মুসলিম চকে সাজ সাজ রব পড়ে যায়। আরিফুর রহমা নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে একদল বাংলাদেশী সমবেত হন স্থানীয় ইয়াসিন রেস্টুরেন্টের সামনে। এখানেই মুলত বাংলাদেশী প্রবাসীরা খাওয়াদাওয়া করে থাকেন। সুলভ মুল্যে পাওয়া যায় বাংলাদেশী খাবার।আরিফ , ডেভিডসহ একদল প্রবাসী বাংলাদেশী সেখানেই বাংলাদেশী পতাকা সংগ্রহ করে তা বিলিবন্টন করতে থাকেন। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে টিকিটও সংগ্রহ করেন তারা। এরপর আনুমানিক দেড়শত বাংলাদেশীকে নিয়ে হাজির হন দশরথ রঙ্গশালায়। উল্লেখ্য নেপালি ভাষায় স্টেডিয়ামকে বলা হয় রঙ্গশালা।আরিফের নেতৃত্বে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাশাপাশি স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিল বাংলাদেশ দুতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি মাসুদ আলমের নেতৃত্বে আরো একদল বাংলাদেশী। তারা চিৎকার দিয়ে উৎসাহিত করতে থাকেন সাবিনা, কৃষ্ণাদের। যদিও মাঠ ভর্তি স্বাগতিক দর্শকদের সরব উপস্থিতিতে তাদের সেই চিৎকার চাপা পড়ে গিয়েছিল। তবে বাংলাদেশের পতাকা দেখে তারা যে উৎসাহিত হয়েছিল সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। যার প্রতিফলন দেখা যায় তাদের মাঠের পারফর্মেন্সে। নেপালি দর্শকদের চিৎকারের বিপরীতে গিয়েও তারা জাতিকে এনে দিয়েছে স্বপ্নের ট্রফি। এ যেন নতুন এক বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই ছন্দে খেলেছে তারা। অপরাজিত থেকে প্রথমবারের মতো জয় করে নিয়েছে সাফ শিরোপা।

Advertisement