পরমাণু হামলায় সক্ষম আরেকটি ডুবো ‘ড্রোনের’ পরীক্ষা চালিয়েছে উ.কোরিয়া

পানির গভীরে হামলা চালাতে সক্ষম ড্রোনের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। নতুন এই আন্ডারওয়াটার ড্রোন সিস্টেমের নাম হেইল-২ (Haeil-2)। উত্তর কোরীয় ভাষায় যার অর্থ দাঁড়ায় ‘সুনামি’। এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা গভীর পানিতে লুকিয়ে হামলা চালাতে পারে, ছড়াতে পারে তেজস্ক্রিয় সুনামি। ধ্বংস করতে পারে শত্রুর জাহাজ ও বন্দর।শনিবার (৮ এপ্রিল) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ জানায়, ৪ থেকে ৭ এপ্রিলের মধ্যে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার মধ্যেই উত্তর কোরিয়া এ ড্রোন সাবমেরিনের পরীক্ষা চালালো। নতুন এ সাবমেরিনটির নাম দেয়া হয়েছে হেইল-২। এর আগে, দেশটি হেইল-১ নামে আরও একটি ড্রোন সাবমেরিনের পরীক্ষা চালিয়েছে।কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে- বিস্ফোরণের আগে ড্রোনটি ৭১ ঘন্টা ছয় মিনিটের প্রায় ১০০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে এবং দক্ষিণ হামগিয়ং প্রদেশের তানচন শহরের রিয়ংডে বন্দরের কাছের সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয়।গেলো বছর রেকর্ড সংখ্যক সমরাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। যা অব্যাহত রয়েছে চলতি বছরও। যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ মহড়ার জেরে সম্প্রতি উত্তেজনা বেড়েছে অঞ্চলটিতে।তবে বিশ্লেষকরা পানির নিচের যানটি মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, উত্তর কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে বৈচিত্র্যময় অস্ত্র প্রদর্শন করতে বরাবরই আগ্রহী।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পরীক্ষাটি পানির নিচের কৌশলগত অস্ত্র ব্যবস্থার নির্ভরযোগ্যতা এবং এর মারাত্মক আক্রমণ ক্ষমতাকে পুরোপুরি প্রমাণ করেছে।’গত ২৩ মার্চ, উত্তর কোরিয়া দাবি করেছিলো তারা পানির নিচে পারমাণবিক হামলা চালানো ড্রোন পরীক্ষা করেছে। যাতেজস্ক্রিয় সুনামি ছড়িয়ে দিয়ে সক্ষম। এরই প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, বিস্ফোরণের আগে ড্রোনটি ৫৯ ঘন্টা ১২ মিনিট পানির নিচে ভ্রমণ করেছিলো।

 

Advertisement