পরাজয় নিয়ে বাড়ি ফিরলো ম্যানইউ-পিএসজি

‘এইচ’ গ্রুপের নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই জয় কুড়ায় ম্যানইউ। পিএসজিকে ২-১ গোলে হারানোর পর আরবি লাইপজিগকে ঘরের মাঠে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ওলে গানার সুলশারের দল। তবে ইস্তাম্বুলে সুবিধা করতে পারেনি ইংলিশ জায়ান্টরা। পুরো ম্যাচে অন টার্গেটে তারা শট নিতে পেরেছে মাত্র দুটি।

নিজেদের ডেরায় ১২তম মিনেটে বাসাকসেহিরকে এগিয়ে নেন ডেম্বা বা। ৪০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এডিন ভিসকা। বিরতির আগেই অবশ্য অ্যান্থনি মার্সিয়ালের গোলে ব্যবধানটা কমিয়ে এনেছিল ম্যানইউ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি রেড ডেভিলরা। যোগ করা সময়ে (৯০+২ মিনিট) হ্যারি ম্যাগুয়ারের হেড গোললাইন ক্রস করার মুহূর্তে ঠেকিয়ে দেন বাসাকসেহিরের এক ফুটবলার। এরই সঙ্গে হারও নিশ্চিত হয়ে যায় ম্যানইউর।
পূর্ব জার্মানির রেডবুল এরেনায় লাইপজিগের বিপক্ষে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি পিএসজি।  ষষ্ঠ মিনিটে গোল করেন আর্জেন্টাইন তারকা অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। তবে ৪১তম মিনিটে ক্রিস্টোফার এনকুনকু ও ৫৭তম মিনিটে এমিল ফোর্সবার্গের গোলে লিড নেয় লাইপজিগ। ৬৯তম মিনিটে ইদ্রিসা গুয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড ( লাল কার্ড) দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। এরপর যোগ করা সময়ে (৯০+৫ মিনিট) দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন (লাল কার্ড) তাদের আরেক খেলোয়াড় প্রেসনেল কিমপেম্বে।
৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গত আসরের রানার্সআপ পিএসজি। সমান ৬ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ম্যানইউ ও লাইপজিগ।
ম্যানইউর হারের রাতে বড় জয় পেয়েছে আরেক ইংলিশ জায়ান্ট চেলসি। ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে রেনকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় ব্লুরা। জোড়া গোল করেন জার্মান স্ট্রাইকার টিমো ভারনার। অপর গোলটি ইংলিশ ফরোয়ার্ড টামি আব্রাহামের। এই জয়ে তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপে শীর্ষে রয়েছে চেলসি। তাদের চেয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সেভিয়া, যারা নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ৩-২ গোলে হারিয়েছে ক্রাসনোদারকে। এক গোল করে সেভিয়ার জয়ে অবদান রেখেছেন বার্সার সাবেক তারকা ইভান রাকিতিচ।
Advertisement