পাটশিল্পের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি অংশীজনের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পাটশিল্পের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি অংশীজনের সমন্বিত আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়েছেন। তিনি জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ আহবান জানান।
আগামীকাল সোমবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২৩’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন ‘আমি আশা করি, এ উদ্যোগ পাটখাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে’।
আবদুল হামিদ বলেন, সোনালি আঁশ খ্যাত পাটের সাথে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। দেশীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সাথে মানানসই পাট ও পাটজাত পণ্য দেশে-বিদেশে পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে সমাদৃত। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিকল্প প্রাকৃতিক তন্তু পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, আধুনিকায়ন ও বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে পাটের অতীত গৌরব ফিরিয়ে আনতে সরকারের নানাবিধ উদ্যোগের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাট ও পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং বিশ্বব্যাপী সোনালি আঁশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে পাটপণ্যকে ‘বর্ষপণ্য ২০২৩’ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি পাট চাষসহ পাটখাতের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও সুরক্ষার লক্ষ্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ এবং ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা, ২০১৩’, ‘পাট আইন, ২০১৭’, ‘চারকোল নীতিমালা, ২০২২’ প্রণয়ন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি বলেন,পাটশিল্পের পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়া সম্ভব। এবারের জাতীয় পাট দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পাট শিল্পের অবদান -স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথাযথ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। রাষ্ট্রপতি পাটশিল্প বিকাশের লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব পাটজাত পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে এবং দেশের বাইরে এসব পণ্যের বাজারজাতকরণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি প্রত্যাশা করেন, সজীব ও সবুজ বাংলাদেশ গড়ার পথ পরিক্রমায় পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করতে এবং পাটশিল্পের উন্নয়নে সকল সরকারি-বেসরকারি অংশীজনের সমন্বিত আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Advertisement