প্রথমবার ধর্মঘটে যাচ্ছেন ব্রিটিশ নার্সরা

যুক্তরাজ্যের কয়েক হাজার নার্স আগামী ১৫ ও ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো বেতন বাড়ানোর দাবি ধর্মঘটে যাচ্ছে। শুক্রবার তাদের ইউনিয়ন থেকে এ তথ্য জানানো হয়। শীতকে সামনে রেখে এই ধর্মঘট স্বাস্থ্য খাতকে ভোগান্তির দিকেই ঠেলে দেবে। অবশ্য ওই দুই দিন যুক্তরাজ্যে আরও অনেক খাতের কর্মীরাও ধর্মঘট করবেন। নার্সরা সেখানে বিপুল সংখ্যায় যোগ দেবেন। ইন-সাইপ্রাস ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার আগে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) নার্সরা বেশ কয়েকবার ওয়াকওয়াট করেছেন। মুদ্রাস্ফীতির উপর ৫ শতাংশ বাড়ানোর দাবি মানতে সরকার অস্বীকার করলে ধর্মঘটে যাওয়ার বিষয়টি সামনে চলে আসে।

রয়্যাল কলেজ অব নার্সিং (আরসিএন)-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকার তাদের দাবি মানেনি। মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। তাই তারা বেতন বাড়ানোর দাবি করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে স্কটল্যান্ড বাদ দিয়ে ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের নার্সরা ধর্মঘটে অংশ নেবেন।আরসিএনের সাধারণ সম্পাদক প্যাট কুলেন জানিয়েছেন, ‘নার্সিংয়ের কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে কম বেতনে কাজ করছেন, কর্মক্ষেত্রে তারা নিরাপদ নন। তারা আর এসব সহ্য করতে রাজি নন।’কুলেন আরও জানিয়েছেন, সরকার আনুষ্ঠানিক আলোচনাতেও রাজি হয়নি। তারা দুই সপ্তাহ আগে ঘোষণা করেছিলেন, দাবি না মানলে ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবেন। কিন্তু দুই সপ্তাহ কেটে গেছে।তিনি বলছেন, ‘আমরা আমাদের সদস্যদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, তারা কি এই অন্যায় আচরণ মেনে নেবেন, না কি প্রথমবারের জন্য ধর্মঘটে যাবেন? সরকার চাইলে এখনও আলোচনায় বসতে পারে, আমাদের দাবি মেনে নিতে পারে।এদিকে ধর্মঘটের বিষয়ে ইউনিয়নের এই সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক চাপে পড়বেন। গত মাসে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক এক শতাংশ, যা গত ৪১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর শুধু নার্সরা নয়, বিভিন্ন খাতের কর্মীরাও বেতন বাড়ানোর দাবি করছেন।

Advertisement