প্রধানমন্ত্রীর ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ সংক্রান্ত প্রচ্ছদ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: নেদারল্যান্ডসের প্রথিতযশা পত্রিকা ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ সংক্রান্ত খবরকে প্রচ্ছদ হিসেবে ব্যবহার করে তাদের চলতি সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেছে। এ উপলক্ষে স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডিপ্লোম্যাটিক কোরের সদস্যবৃন্দ, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কর্মী, থিংক ট্যাঙ্কস, ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান, প্যালেস্টাইন, ইয়েমেন, মরক্কো, তিউনিসিয়া, এ্যাংগোলা, সুইডেন, ফিনল্যাণ্ড, লুক্সেমবার্গ, ইউক্রেন, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, ভ্যাটিকান, কসোভো, ব্রাজিল, কিউবা, পেরু, চিলি, ভেনিজুয়েলা এবং ইকুয়েডর এর রাষ্ট্রদূতগণ, রাশিয়ান ফেডারেশন, জর্জিয়া, আর্জেন্টিনা এবং আজারবাইজেন এর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতগণ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কেনিয়া, পোল্যান্ড এবং পানামা দূতাবাসের কূটনৈতিক প্রতিনিধিগণ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন এর প্রকাশক মিজ মেইলিন ডি লারা এবং নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল উপস্থিত রাষ্ট্রদূতগণকে সাথে নিয়ে পত্রিকাটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

রাষ্ট্রদূত বেলাল প্রচ্ছদ হিসেবে মানবতার কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ প্রধানমন্ত্রীর ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ সংক্রান্ত খবরকে বেছে নেবার জন্য ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপস্থিত সকলকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ- মায়ানমার সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেবার বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে লক্ষ লক্ষ নির্যাতিত মানুষের জীবন রক্ষা করে বিশ্ববাসীর নিকট কিভাবে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন সে বিষয়ে অবহিত করেন।প্রধানমন্ত্রীর ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ সংক্রান্ত প্রচ্ছদ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচনবাংলাদেশ সরকার নিজেদের অর্থনীতি, পরিবেশ এবং নিরাপত্তার ঝুঁকিকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র মানবিক কারণে যেভাবে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ইত্যাদি সুবিধাদি প্রদান করেছে সে সম্পর্কেও তিনি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন।

রাষ্ট্রদূত বেলালজোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং মৌলিক প্রয়োজনসমূহ নিশ্চিত করে দ্রুত তাদের নিজেদের বাসভূমিতে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এছাড়া, রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করার প্রতিও তিনি জোর দেন।

Advertisement