প্রশ্ন ফাঁস! দায় কি শুধু মন্ত্রীর!

:ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী:

বর্তমান কালে পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস এক মহামারী আকার ধারণ করেছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা করলেও তেমন আশানুরুপ সুফল এখনো আসেনি।

সকল কৌশল ফাঁকি দিয়ে ফাঁস হচ্ছে। বিষয়টি রীতিমত অস্বস্তিকর। আর শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাই ও পুরোপুরি বিব্রত।
এই অস্বস্তিকর এবং বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের অনেক পন্থা ও ইতিমধ্যে অবলম্বন করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে করার পরিকল্পনা ও রয়েছে।

গ্রেফতার, জেল, জরিমানা, নিত্য নতুন আইন, পুরস্কার ঘোষণা কোন কিছুতেই যেন কাজ হচ্ছেনা। ফাঁস হচ্ছে তো হচ্ছেই।

এরই মধ্যে এর দ্বায়ভার নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি ও উঠেছে জাতীয় সংসদে।

সোশ্যাল মিডিয়া এবং খবরের কাগজে অনেকে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্বে বিরূপ মন্তব্য ও করেছেন। বিষয়টি অনেকের কাছে এমন যেন সব দ্বায়ভার শিক্ষা মন্ত্রীর! সুতরাং উনি চলেগেলে সব সমস্যার সমাধান! আসলেই কি তাই?
অতীতে যে ফাঁস হয়নি তা কিন্তু নয়। কিন্তু বর্তমানে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।

আমার মনে হয় বিষয়টি নিয়ে একটু গভীর ভাবে পর্যালোচনা করা উচিত। নুরুল ইসলাম নাহিদ সাহেব চলে গেলে যে সব সমস্যার সমাধান হবে, ব্যাপারটি এরকম নয়। আমরা যদি এর মুলে না যাই তাহলে এ সমস্যার সমাধান কোনদিন হবেনা।

আমার মতে এ ফাঁসের পেছনে রয়েছে অনেকগুলো কারণ তারমধ্যে অন্যতম হলো ইন্টারনেট , ডিজিটাল মোবাইল, ল্যাপটপ, সোশ্যাল মিডিয়া এ সব কিছুর বদৌলতে ফাঁস প্রক্রিয়া সহজ হয়েছে।

যে কেউ সুযোগ পেলে ফাঁস করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিলে নিমিষে চলে যাচ্ছে অন্যদের হাতের মুটোয়।
এছাড়া প্রশ্নপত্রের সংশ্লিষ্ট রয়েছেন অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্টান যেমন প্রশ্নপত্র প্রস্তুতকরি, ছাপাখানা, পরীক্ষাকেন্দ্রের তদারককারী, পরীক্ষার হলে যারা দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত থাকেন সর্বোপরি সবার সমন্বিত কার্যক্রম ছাড়া নাহিদ সাহেব কেন, ভবিষ্যতে কোন সাহেবের পক্ষে এই ফাঁস রোধ করা সম্ভব নয়।

নাহিদ সাহেবের দ্বায়িত্ব আমি অস্বীকার করছিনা এবং মন্ত্রী হিসাবে উনি দ্বায়িত্ব এড়ানোর কোন সুযোগ ও নাই। তবে এই অপকর্ম রুখতে সবার সমন্বয় প্রয়োজন।

লেখক:ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী
প্রিন্সিপাল সলিসিটার,কেসি সলিসিটর্স,ইউকে,
পরিচালক,সেন্টারফরব্রিটিশ-বাংলাদেশীপলিসি ডায়ালগ
সাবেক সাধারণ সম্পাদকওসহসভাপতি দি সোসাইটি অব ব্রিটিশ-বাংলাদেশী সলিসিটর্স

Advertisement