ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ব্রেক্সিট দেখেই যাবেন প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে। তাঁর ব্রেক্সিট পরিকল্পনার বিরোধীতা করে একে একে বিভিন্ন সময় ১৯ জন কেবিনেট সদস্য পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ প্রস্তাবিত চুড়ান্ত ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে দিনভর নানা নাটকীয়তা শেষে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নবানে বিদ্ধ হয়ে দৃঢ়তার সাথেই বলেছেন তিনি ব্রেক্সিট দেখেই যাবেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ব্রেক্সিট সেক্রেটারী, ওয়ার্ক এন্ড পেনসন সেক্রেটারীসহ দুজন জুনিয়র মিনিষ্টারের একে একে পদত্যাগ করার পরেও দমে যাননি প্রধানমন্ত্রী। এরপর পার্লামেন্টেও প্রশ্নবানে বিদ্ধ হন। কথা উঠে নো কনফিডেন্স ভোট নিয়েও। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নো কনফিডেন্স এনে দলের পেছনের সারির এমপি এবং ব্রেক্সিট সমর্থক জ্যাকব রিস মগ পার্টির ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্রাডির কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন। এরকম ৪৮টি চিঠি ১৯২২ কমিটির কাছে যাবার পর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নো কনফিডেন্স ভোট হবে।
এদিকে বুধবার বিকেল ২টা থেকে প্রায় পাঁচ ঘন্টা কেবিনেট সদস্যদের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, তাঁর ব্রেক্সিট পরিকল্পনার প্রতি কেবিনেটের পূর্ন সমর্থন রয়েছে। কিন্তু রাত পোহাবার সাথে সাথেই পদত্যাগ করেন ব্রেক্সিট সেক্রেটারী ডমিনিক র্যাব। এরপর একে একে আরো তিন জন পদত্যাগ করেন। তবে এর মধ্যেও ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। ২৫শে নভেম্বর ইইউ সামিতের আগে পার্লামেন্টে এমপিদের ভোটে চুড়ান্ত পরিকল্পনা পাশ করাতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু এতে নিজের দলের প্রায় ৪০ জনের বেশি এমপিসহ পার্লামেন্টে ডিইউপি, লেবার, এসএনপিসহ অন্যান্য দলের এমপিরাও এর বিরোধীতা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট পরিকল্পনার বিরোধীতা করে এরিমধ্যে তার কেবিনেট থেকে সিনিয়র জুনিয়র সেক্রেটারীেএবং মিনিষ্টার মিলে প্রায় ১৯ জন পদত্যাগ করেছেন। তিনি ক্ষমতায় আসার পর নিয়োগ দেওয়া প্রথম ব্রেক্সিট সেক্রেটারী ডেভিড ডেভিসের পর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ব্রেক্সিট সেক্রেটারী ডমিনিক র্যাবও পদত্যাগ করেন। এছাড়াও পদত্যাগ করেছেন বরিস জনসন, তার ভাই জো জনসন।