ফরিদগঞ্জ ও জীবননগরে বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: অনিয়ম, কারচুপি ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন বয়কট করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইমাম হোসেন। আজ সকালে ভোট শুরুর দুই ঘণ্টা পরে ১০টায় তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, নৌকা প্রতীকের একজন ছেলে এএসপি পদে রয়েছেন। তিনি যখন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পরিচয় দেয়, তখন ওনাকে স্যালুট দিচ্ছে এবং ওনি নিজে ব্যালট পেপার নিয়ে সিল মারছেন। তিনি তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে প্রতিটি কেন্দ্র গিয়ে ভোটের বাক্স ব্যালট দিয়ে ভর্তি করছেন। আমাদের ধানের শীষের কোন ব্যালট নেই, সেগুলো আগেই নৌকার সিল মেরে ভর্তি করে রেখেছে। নির্বাচনের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন, আমাদের কিছুই করার নেই, আপনারা বাড়ি চলে যান। আমার এজেন্টদেরকে অবস্থান করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই আমি নির্বাচন বয়কট করলাম।

এদিকে জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি জানান, পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মো. শাজাহান কবির।

রোববার ভোট শুরুর দেড় ঘণ্টা পর সকাল নাড়ে ৯টার দিকে জীবননগর উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যলয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জীবননগর পৌরসভার ৪নং ওর্য়াডে চরম অনিয়ম চলছে। ভোটগ্রহণের কিছু সময়ের মধ্যেই ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির পোলিংএজন্টদের ভোট কেন্দ্রে থেকে বের করে দেয়। আমাদের নেতাকর্মীদেরও ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি নৌকার ভোটার ছাড়া আর কোনো ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, শনিবার রাতে জীবননগর পৌর শহরজুড়ে আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে মাইকিং করে নৌকার ভোটার ছাড়া অন্য কাউকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। প্রশাসনকে বলা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বরং প্রকাশ্য জনসম্মুখে নৌকায় সিল মেরে নিচ্ছে তারা। তবে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকন বলেন, সকাল থেকে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি কোথাও কোনো ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।

Advertisement